০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে নিক্সন চৌধুরী ও কাজী জাফরউল্যা সমর্থকরা মুখোমুখি, আ.লীগ কার্যালয়ে দুই পক্ষের তালা

মাহবুব হোসেন পিয়াল, ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের সদরপুরে দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা-পাল্টি তালা দিয়েছে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি পক্ষ। শুক্রবার সকাল ৫টার এবং সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা দুটি ঘটে।

সদরপুর আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্যা ও যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নেতৃত্বে বিভক্ত।

সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি উপজেলা সদরে সদরপুর স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত। এ কার্যালয়টি শুরুতে কাজী জাফরউল্যার অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে স্বতন্ত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার অনুসারীরা ওই কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে কাজী জাফরউল্যার ছবি ভাঙচুর করে ওই ভবনটি দখল করে নেয়।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে কাজী জাফরউল্যার অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ছবিটি অপসারণ করে এবং নতুন একটি তালা কার্যালয়ের মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক মো. আশরাফুল।

এদিকে এ ঘটনার তিন ঘন্টা পর নিক্সনের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান নেতৃত্ব দিয়ে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তারা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাফরউল্যা পন্থীদের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকেন এবং পরে নতুন আরেকটি তালা মেরে চলে আসেন।

এ প্রসঙ্গে কাজী শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ফালতু লোক ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে সাংসদ নিক্সনের ছবি নিয়ে যায় এবং নতুন তালা মেরে দেয়। পরে এ ঘটনা জানার পর আমরা মিছিল করি এবং কার্যালয়ে নতুন তালা লাগিয়ে দেই। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

কাজী জাফরউল্লাহপন্থী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তিতে কাজী শফিকুর রহমান ওই কার্যালয় দখল করে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম তুহীন আলী বলেন, সাংসদের বিরোধী অংশ ভোরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংসদের ছবি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাংসদ পন্থীরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরে নিক্সন চৌধুরী ও কাজী জাফরউল্যা সমর্থকরা মুখোমুখি, আ.লীগ কার্যালয়ে দুই পক্ষের তালা

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১

মাহবুব হোসেন পিয়াল, ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের সদরপুরে দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা-পাল্টি তালা দিয়েছে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি পক্ষ। শুক্রবার সকাল ৫টার এবং সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা দুটি ঘটে।

সদরপুর আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্যা ও যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নেতৃত্বে বিভক্ত।

সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি উপজেলা সদরে সদরপুর স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত। এ কার্যালয়টি শুরুতে কাজী জাফরউল্যার অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে স্বতন্ত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার অনুসারীরা ওই কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে কাজী জাফরউল্যার ছবি ভাঙচুর করে ওই ভবনটি দখল করে নেয়।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে কাজী জাফরউল্যার অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ছবিটি অপসারণ করে এবং নতুন একটি তালা কার্যালয়ের মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক মো. আশরাফুল।

এদিকে এ ঘটনার তিন ঘন্টা পর নিক্সনের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান নেতৃত্ব দিয়ে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তারা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাফরউল্যা পন্থীদের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকেন এবং পরে নতুন আরেকটি তালা মেরে চলে আসেন।

এ প্রসঙ্গে কাজী শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ফালতু লোক ভোর ৫টা সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে সাংসদ নিক্সনের ছবি নিয়ে যায় এবং নতুন তালা মেরে দেয়। পরে এ ঘটনা জানার পর আমরা মিছিল করি এবং কার্যালয়ে নতুন তালা লাগিয়ে দেই। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

কাজী জাফরউল্লাহপন্থী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তিতে কাজী শফিকুর রহমান ওই কার্যালয় দখল করে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম তুহীন আলী বলেন, সাংসদের বিরোধী অংশ ভোরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংসদের ছবি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাংসদ পন্থীরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন।