০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের কাছে পৌছে দেয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে ধর্ষণ, পল্লিতে বিক্রিকালে দুলাভাই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়ালন্দঃ প্রেমিকের কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে ঘরে আটকে রেখে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে দুলাভাইকে আটক করে পুলিশ দিয়েছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে এবং দুলাভাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় থানায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার (৮ জানুয়ারী) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃত দুলাভাই রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর বাওইখোলা গ্রামের আব্দুল জলিল ফকিরের ছেলে মাসুদ ফকির (২৭)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কালুখালীর কুমড়ীরানী গ্রামের কিশোরীর (১৫) সাথে পাশের গ্রামের সানি নামের তরুণের প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আপন চাচাতো বোনের জামাই দুলাভাই মাসুদ ফকির তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারী) রাতে শ্যালিকাকে প্রেমিক সানির কাছে পৌছে দেয়ার কথা বলে। দুলাভাইয়ের কথায় রাজি হয়ে সাথে স্থানীয় বি-কয়া বাজারে গিয়ে সানির সাথে কথা হয়নি, তবে কালুখালী বাজারে গেলে সানির সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করবে জানায়। পরে কালুখালী পৌছে বিভিন্ন তালবাহানা শেষে রাত এগারটার দিকে কালুখালী রেলষ্টেশন এলাকার এক বাড়িতে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরদিন শুক্রবার (৮ জানুয়ারী) সকালে সানির সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছে, সে এখন গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া রেলষ্টেশনে অবস্থান করছে বলে সাড়ে দশটার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির প্রধান প্রবেশ পথের কাছে কিশোরী নিয়ে যায়। সেখানে  দাড় করিয়ে রেখে কিছুদূরে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির সাথে দুলাভাইয়ের কথা বার্তা এবং স্থানীয় মেয়েদের সাজগোজ দেখে কিশোরী বুঝতে পারেন এটা খারাপ জায়গা। কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক যৌনপল্লির ভিতর নেওয়ার চেষ্টা করে। কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুই ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও হাতেনাতে দুলাভাইকে আটক করে পুলিশে দেয়। থানায় এসে কিশোরী বিষয়টি মুঠোফোনে তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন বিস্তারিত জানার পর শুক্রবার রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-৮) দায়ের করে।

শনিবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা হেফাজতে উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, প্রেমিক সানির কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুলাভাই আমাকে সর্বনাশ করেছে। পরবর্তীতে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় একটি বেসরকারী সংস্থার লোকজন ও এলাকার কয়েকজন দ্রুত বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।

কিশোরীর বাবা জানান, আমি আমার মেয়ের সর্বনাশের বিচার চাই। আমার মেয়েরে সর্বনাশ করেছে আবার যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছিল। অল্পের জন্য অন্ধকার জগৎ থেকে রক্ষা পেয়েঠেছ। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, দুলাভাই পাশের গ্রামের প্রেমিকের কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ পরে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শনিবার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এবং দুলাভাইকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

প্রেমিকের কাছে পৌছে দেয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে ধর্ষণ, পল্লিতে বিক্রিকালে দুলাভাই গ্রেপ্তার

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:৪০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়ালন্দঃ প্রেমিকের কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে ঘরে আটকে রেখে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে দুলাভাইকে আটক করে পুলিশ দিয়েছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে এবং দুলাভাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় থানায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার (৮ জানুয়ারী) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃত দুলাভাই রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর বাওইখোলা গ্রামের আব্দুল জলিল ফকিরের ছেলে মাসুদ ফকির (২৭)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কালুখালীর কুমড়ীরানী গ্রামের কিশোরীর (১৫) সাথে পাশের গ্রামের সানি নামের তরুণের প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আপন চাচাতো বোনের জামাই দুলাভাই মাসুদ ফকির তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারী) রাতে শ্যালিকাকে প্রেমিক সানির কাছে পৌছে দেয়ার কথা বলে। দুলাভাইয়ের কথায় রাজি হয়ে সাথে স্থানীয় বি-কয়া বাজারে গিয়ে সানির সাথে কথা হয়নি, তবে কালুখালী বাজারে গেলে সানির সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করবে জানায়। পরে কালুখালী পৌছে বিভিন্ন তালবাহানা শেষে রাত এগারটার দিকে কালুখালী রেলষ্টেশন এলাকার এক বাড়িতে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরদিন শুক্রবার (৮ জানুয়ারী) সকালে সানির সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছে, সে এখন গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া রেলষ্টেশনে অবস্থান করছে বলে সাড়ে দশটার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির প্রধান প্রবেশ পথের কাছে কিশোরী নিয়ে যায়। সেখানে  দাড় করিয়ে রেখে কিছুদূরে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির সাথে দুলাভাইয়ের কথা বার্তা এবং স্থানীয় মেয়েদের সাজগোজ দেখে কিশোরী বুঝতে পারেন এটা খারাপ জায়গা। কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক যৌনপল্লির ভিতর নেওয়ার চেষ্টা করে। কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুই ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও হাতেনাতে দুলাভাইকে আটক করে পুলিশে দেয়। থানায় এসে কিশোরী বিষয়টি মুঠোফোনে তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন বিস্তারিত জানার পর শুক্রবার রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-৮) দায়ের করে।

শনিবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা হেফাজতে উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, প্রেমিক সানির কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুলাভাই আমাকে সর্বনাশ করেছে। পরবর্তীতে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় একটি বেসরকারী সংস্থার লোকজন ও এলাকার কয়েকজন দ্রুত বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।

কিশোরীর বাবা জানান, আমি আমার মেয়ের সর্বনাশের বিচার চাই। আমার মেয়েরে সর্বনাশ করেছে আবার যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছিল। অল্পের জন্য অন্ধকার জগৎ থেকে রক্ষা পেয়েঠেছ। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, দুলাভাই পাশের গ্রামের প্রেমিকের কাছে পৌছে দেওয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ পরে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শনিবার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এবং দুলাভাইকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।