০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ধুলায় অতিষ্ঠ জনজীবন, বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব

ইমরান হোসেন, রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীতে শীতের শুরুতে আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় বাতাসের সাথে ধুলাবালির পরিমান বেড়েছে। একদিকে করোনার মত মহামাড়ি, অন্যদিকে ধুলা বালির দূষনে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ। প্রতিদিনই ধুলার দুষনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রাস্তায় চলাচল কারীরা।

জেলার বিভিন্ন সড়কের কাজের সময়কাল শেষ হলেও সেই কাজ দির্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় সেসব স্থানে যানবাহন চলাচলের কারনে ধুলাবালির পরিমান বেড়েছে। প্রতিদিন এসব রাস্তায় যানবাহন চলাচলে ধুলার দুষন ছড়াচ্ছে এবং নানা রোগে আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন মানুষ। দূষিত হচ্ছে বাতাসে কমছে অক্সিজেনের মাত্রা। সাধারন মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ও সংক্রমন বেড়েছে।

রাজবাড়ীর প্রধান সড়কের কাজের মেয়াদকাল গত বছর শেষ হলেও বড়পুল থেকে জেলখানা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার অংশ, জৌকুড়া-ধাওয়া পাড়া ৫ কিলোমিটার, কালুখালী রেলগেট, গোয়ালন্দ জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের রাস্তা এবং পাংশা মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশসহ বিভিন্ন গ্রামীন সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় বর্তমানে আবহাওয়া শুষ্কতার কারনে যান চলাচলের সাথে প্রচন্ড পরিমানে ধুলাবালির ছড়িয়ে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কাজ ফেলে রাখার এবং বেশিরভাগ স্থানে ভাঙ্গাচোড়া রাস্তার কাজ না করার কারনে যানবাহন চলাচলে সার্বক্ষনিক ধুলাবালি উড়তে থাকে। এ কারনে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন মানুষ ধুলা দুষনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

অন্যদিকে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীন সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে সেসব স্থানে ধুলাবালি তৈরী হয়েছে। এতে ধুলা দুষনসহ ভাঙ্গাচোড়া রাস্তায় চলচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একদিকে করোনায় অতিষ্ঠ জীবন, অন্যদিকে ধুলা ধুষন মানুষের বাড়তি সমস্যায় ফেলছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করছেন সাধারন মানুষ।

পথচারি ও এলাকবাসি বলেন, করোনা ভাইরাসে তাদের জীবন যাপন অতিষ্ঠ, অন্যদিকে অতিমাত্রায় ধুলাবালিতে রাস্তায় চলাচলে মারাত্বক সমস্যায় ফেলেছে। নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে তাদের। রাস্তা সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখে ধুলা দুষনের মত সম্যায় পরছেন তারা। তাই ধুলাবালির সমস্যা থেকে সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে অনেুরোধ জানান এবং নিয়মিত ধুলাবালি নিরাময়ে পানি ব্যাবহারের অনুরোধ জানান।

রাজবাড়ী জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইব্রিাহিম টিটন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকা এবং শীতকাল হওয়ার কারনে বাতাসে ধুলাবালির পরিমান বেশি থাকায় স্বাসকষ্ঠজনিতসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীত ও ঠান্ডা জনিত কারনে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আদ্রতা ও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় নানা সমস্যা থেকে দুরে থাকতে এবং ধূলাবালি ও করোনার আক্রমন থেকে পরিত্রান পেতে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজবাড়ীর সড়কের বড়পুল, বাগমাড়া জৌকুড়া সড়ক সহ বিভিন্ন অংশে কাজ চলমান রয়েছে এবং ভূমি হস্তান্তর জটিলতার কারনে চলমান কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। জন সাধারন ধূলাবালির কারনে রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পানি দিয়ে ধূলাবালি নিরসন ও ঠিকাদারকে অতি দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্ভোগ যেন না হয় সেদিকে সচেষ্ট রয়েছেন। নিয়মিত ধূলাবালির স্থানে পানি দিয়ে ধূলা নিয়ন্ত্রন করতে বলেন ঠিকাদারকে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

রাজবাড়ীতে ধুলায় অতিষ্ঠ জনজীবন, বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:২০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০

ইমরান হোসেন, রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীতে শীতের শুরুতে আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় বাতাসের সাথে ধুলাবালির পরিমান বেড়েছে। একদিকে করোনার মত মহামাড়ি, অন্যদিকে ধুলা বালির দূষনে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ। প্রতিদিনই ধুলার দুষনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রাস্তায় চলাচল কারীরা।

জেলার বিভিন্ন সড়কের কাজের সময়কাল শেষ হলেও সেই কাজ দির্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় সেসব স্থানে যানবাহন চলাচলের কারনে ধুলাবালির পরিমান বেড়েছে। প্রতিদিন এসব রাস্তায় যানবাহন চলাচলে ধুলার দুষন ছড়াচ্ছে এবং নানা রোগে আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন মানুষ। দূষিত হচ্ছে বাতাসে কমছে অক্সিজেনের মাত্রা। সাধারন মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ও সংক্রমন বেড়েছে।

রাজবাড়ীর প্রধান সড়কের কাজের মেয়াদকাল গত বছর শেষ হলেও বড়পুল থেকে জেলখানা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার অংশ, জৌকুড়া-ধাওয়া পাড়া ৫ কিলোমিটার, কালুখালী রেলগেট, গোয়ালন্দ জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের রাস্তা এবং পাংশা মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশসহ বিভিন্ন গ্রামীন সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় বর্তমানে আবহাওয়া শুষ্কতার কারনে যান চলাচলের সাথে প্রচন্ড পরিমানে ধুলাবালির ছড়িয়ে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কাজ ফেলে রাখার এবং বেশিরভাগ স্থানে ভাঙ্গাচোড়া রাস্তার কাজ না করার কারনে যানবাহন চলাচলে সার্বক্ষনিক ধুলাবালি উড়তে থাকে। এ কারনে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন মানুষ ধুলা দুষনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

অন্যদিকে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীন সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে সেসব স্থানে ধুলাবালি তৈরী হয়েছে। এতে ধুলা দুষনসহ ভাঙ্গাচোড়া রাস্তায় চলচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একদিকে করোনায় অতিষ্ঠ জীবন, অন্যদিকে ধুলা ধুষন মানুষের বাড়তি সমস্যায় ফেলছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করছেন সাধারন মানুষ।

পথচারি ও এলাকবাসি বলেন, করোনা ভাইরাসে তাদের জীবন যাপন অতিষ্ঠ, অন্যদিকে অতিমাত্রায় ধুলাবালিতে রাস্তায় চলাচলে মারাত্বক সমস্যায় ফেলেছে। নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে তাদের। রাস্তা সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখে ধুলা দুষনের মত সম্যায় পরছেন তারা। তাই ধুলাবালির সমস্যা থেকে সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে অনেুরোধ জানান এবং নিয়মিত ধুলাবালি নিরাময়ে পানি ব্যাবহারের অনুরোধ জানান।

রাজবাড়ী জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইব্রিাহিম টিটন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকা এবং শীতকাল হওয়ার কারনে বাতাসে ধুলাবালির পরিমান বেশি থাকায় স্বাসকষ্ঠজনিতসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীত ও ঠান্ডা জনিত কারনে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আদ্রতা ও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় নানা সমস্যা থেকে দুরে থাকতে এবং ধূলাবালি ও করোনার আক্রমন থেকে পরিত্রান পেতে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজবাড়ীর সড়কের বড়পুল, বাগমাড়া জৌকুড়া সড়ক সহ বিভিন্ন অংশে কাজ চলমান রয়েছে এবং ভূমি হস্তান্তর জটিলতার কারনে চলমান কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। জন সাধারন ধূলাবালির কারনে রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পানি দিয়ে ধূলাবালি নিরসন ও ঠিকাদারকে অতি দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্ভোগ যেন না হয় সেদিকে সচেষ্ট রয়েছেন। নিয়মিত ধূলাবালির স্থানে পানি দিয়ে ধূলা নিয়ন্ত্রন করতে বলেন ঠিকাদারকে।