০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে হামলা চালিয়ে ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ, চরমপন্থী নেতা সহ গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে মঙ্গলবার দিবাগত গভীররাতে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর, এবং মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। এতে যৌনপল্লির ভিতর এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরী হয়। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে চরমপন্থী নেতা সহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার গুলপালদী মোল্লা পাড়া গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে মো. ছৈয়ল ওরফে সোহেল মোল্লা (৩১) ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ইউপির কিতাবদি মোল্লার পাড়ার মৃত হাবিব শেখের ছেলে আলেপ শেখ (৪৫)। তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে সোহেল মোল্লা নিষিদ্ধ চরমপন্থী সর্বহারা দলের আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে গোয়ালন্দসহ বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে।

মামলার বাদী যৌনপল্লির খুশি বেগম জানান, কুতুবের বাড়ির ভাড়া থেকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করি। মাঝেমধ্যে আলেপ তার ঘরে খরিদ্দার হিসেবে আসা যাওয়া করতো। সম্প্রতি আলেপের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে বিরোধ তৈরী হয়। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে আলেপ, সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেলসহ কয়েকজন লাঠিশোটা নিয়ে আমার বাড়ির গেটের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারপিট করে। এ সময় ঘরের টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ২০ হাজার টাকা, প্রায় ১৮ হাজার টাকা মুল্যের ৫ আনি ওজনের স্বর্ণের আংটি ও প্রায় ২৯ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্নের চেইন লুট করে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় যৌনপল্লির বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতি তৈরী হয়। এ সময় সবাই চিৎকার করলে লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে আসলে তারা বীরদর্পে এলাকা ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ খুশি বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আলেপ, সোহেল সহ ৭জনকে চিহিৃত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, যৌনকর্মী খুশি বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেল ও আলেপকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে যৌনপল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সোহেল একজন চিহিৃত চরমপন্থী সর্বহারা দলের আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী, ফরিদপুরে খুন, ডাকাতি সহ ৬টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে হামলা চালিয়ে ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ, চরমপন্থী নেতা সহ গ্রেপ্তার ২

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:০০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে মঙ্গলবার দিবাগত গভীররাতে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর, এবং মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। এতে যৌনপল্লির ভিতর এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরী হয়। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে চরমপন্থী নেতা সহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার গুলপালদী মোল্লা পাড়া গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে মো. ছৈয়ল ওরফে সোহেল মোল্লা (৩১) ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ইউপির কিতাবদি মোল্লার পাড়ার মৃত হাবিব শেখের ছেলে আলেপ শেখ (৪৫)। তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে সোহেল মোল্লা নিষিদ্ধ চরমপন্থী সর্বহারা দলের আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে গোয়ালন্দসহ বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে।

মামলার বাদী যৌনপল্লির খুশি বেগম জানান, কুতুবের বাড়ির ভাড়া থেকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করি। মাঝেমধ্যে আলেপ তার ঘরে খরিদ্দার হিসেবে আসা যাওয়া করতো। সম্প্রতি আলেপের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে বিরোধ তৈরী হয়। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে আলেপ, সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেলসহ কয়েকজন লাঠিশোটা নিয়ে আমার বাড়ির গেটের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারপিট করে। এ সময় ঘরের টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ২০ হাজার টাকা, প্রায় ১৮ হাজার টাকা মুল্যের ৫ আনি ওজনের স্বর্ণের আংটি ও প্রায় ২৯ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্নের চেইন লুট করে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় যৌনপল্লির বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতি তৈরী হয়। এ সময় সবাই চিৎকার করলে লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে আসলে তারা বীরদর্পে এলাকা ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ খুশি বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আলেপ, সোহেল সহ ৭জনকে চিহিৃত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, যৌনকর্মী খুশি বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেল ও আলেপকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে যৌনপল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সোহেল একজন চিহিৃত চরমপন্থী সর্বহারা দলের আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী, ফরিদপুরে খুন, ডাকাতি সহ ৬টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।