০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই দফা স্থগিতের পর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ১০ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুই দফা স্থগিতের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় প্রার্থী ছাড়া নতুন করে তফসিল ঘোষনা হওয়ায় রোববার ছিল মনোনয়নত্র জমাদানের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী তিনজনই রোববার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিয়েছেন।

রোববার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন সাহা ও নির্বাচন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন আহমেদের কাছে সুলতান, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফুজ্জামান ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুবুর রাব্বানী মনোয়নপত্র জমা দেন। এরা প্রত্যেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত বছর ২৪ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোট গ্রহণ হলেও চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় কোন প্রার্থী না থাকায় এবিএম নুরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার সাত মাস পর নুরুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ অক্টোবর মৃত্যু বরণ করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ শুন্য ঘোষণা করে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশন চলতি বছর ২৯ মার্চ উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে। আ.লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আ.লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মোস্তফা মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা মুন্সী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আ.লীগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত) উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল (ঘোড়া) ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব আলম শাহীন (ধানের শীষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন চার দিন আগে ২৫ মার্চ উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।

৬ মাস পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ১০ অক্টোবর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। ওইদিন সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম মন্ডল গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে ১০ অক্টোবর ভোট গ্রহণের তারিখ পুনরায় স্থগিত হয়। পরবর্তীতে ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নতুন করে তফসিল ঘোষণায় আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।

একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন মিলে গঠিত গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৯১ হাজার ৩০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৬ হাজার ১৬জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪৫ হাজার ২৮৯ জন। এখানে ৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১৯২টি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন আহমেদ ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন সাহা বলেন, তৃতীয় দফায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সরকার দলীয় ও বিএনপির প্রার্থী ছাড়া নতুন করে তিনজন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৪ নভেম্বর প্রতিক বরাদ্দ হবে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

দুই দফা স্থগিতের পর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ১০ ডিসেম্বর

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:১৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুই দফা স্থগিতের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় প্রার্থী ছাড়া নতুন করে তফসিল ঘোষনা হওয়ায় রোববার ছিল মনোনয়নত্র জমাদানের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী তিনজনই রোববার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিয়েছেন।

রোববার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন সাহা ও নির্বাচন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন আহমেদের কাছে সুলতান, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফুজ্জামান ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুবুর রাব্বানী মনোয়নপত্র জমা দেন। এরা প্রত্যেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত বছর ২৪ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোট গ্রহণ হলেও চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় কোন প্রার্থী না থাকায় এবিএম নুরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার সাত মাস পর নুরুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ অক্টোবর মৃত্যু বরণ করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ শুন্য ঘোষণা করে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশন চলতি বছর ২৯ মার্চ উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে। আ.লীগের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আ.লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মোস্তফা মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা মুন্সী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আ.লীগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত) উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল (ঘোড়া) ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব আলম শাহীন (ধানের শীষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন চার দিন আগে ২৫ মার্চ উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।

৬ মাস পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ১০ অক্টোবর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। ওইদিন সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম মন্ডল গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে ১০ অক্টোবর ভোট গ্রহণের তারিখ পুনরায় স্থগিত হয়। পরবর্তীতে ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নতুন করে তফসিল ঘোষণায় আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।

একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন মিলে গঠিত গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৯১ হাজার ৩০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৬ হাজার ১৬জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪৫ হাজার ২৮৯ জন। এখানে ৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১৯২টি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন আহমেদ ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন সাহা বলেন, তৃতীয় দফায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সরকার দলীয় ও বিএনপির প্রার্থী ছাড়া নতুন করে তিনজন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৪ নভেম্বর প্রতিক বরাদ্দ হবে।