০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মো. রফিক শেখ (২১) নামের এক তরুণকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। রফিক উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া ইছাক মুন্সীর পাড়ার মো. নাছির শেখ এর ছেলে।

রোববার ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে বাবা পাশের হামিদ মৃধার হাটে যায়। বাড়িতে থাকা মা ছাগলের জন্য বাড়ির পাশে মাঠে ঘাস কাটতে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে সে (স্কুল ছাত্রী) গোসল করে ঘরে ঢুকে কাপড় পরিবর্তন করে মাথার চুল আঁচড়াতে ছিল। এমন সময় স্থানীয় দূর সর্ম্পকের চাচা হন রফিক ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তাকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় বাড়িতে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের নাম ধরে ডাকতে থাকে। তখন ঘরের দরজা খুলেই লম্পট রফিক দৌড়ে পালায়। এসময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার করতে থাকে। পরে বিষয়টি তার বাবা-মার কাছে খুলে বলে।

স্কুল ছাত্রীর দরিদ্র বাবা অভিযোগ করেন, রফিক এলাকার একজন লম্পট হিসেবে পরিচিত। এলাকার ছেলে বলে মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়ি আসতো। আমার মেয়ে সর্ম্পকে ভাতিজি হয়। অথচ সুযোগ বুঝে বাড়ি কেউ না থাকায় আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার মেয়ের এমন সর্বনাশের উপযুক্ত শাস্তি চাই। এ বিষয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরদিন শনিবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় রফিককে অভিযুক্ত করে একটি মামলা (নং-১০) দায়ের করেছি।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রফিক শেখ এলাকা ছাড়া রয়েছে। থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে পরিবারের সবাই পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল মোল্লা বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। খারাপ মানুষ না হলে কি এমন কাজ করতে পারে। প্রকৃত অপরাধী হলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিত।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই সাথে সে নারী ও শিশু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অপরাধীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

গোয়ালন্দে তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মো. রফিক শেখ (২১) নামের এক তরুণকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। রফিক উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া ইছাক মুন্সীর পাড়ার মো. নাছির শেখ এর ছেলে।

রোববার ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে বাবা পাশের হামিদ মৃধার হাটে যায়। বাড়িতে থাকা মা ছাগলের জন্য বাড়ির পাশে মাঠে ঘাস কাটতে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে সে (স্কুল ছাত্রী) গোসল করে ঘরে ঢুকে কাপড় পরিবর্তন করে মাথার চুল আঁচড়াতে ছিল। এমন সময় স্থানীয় দূর সর্ম্পকের চাচা হন রফিক ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তাকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় বাড়িতে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের নাম ধরে ডাকতে থাকে। তখন ঘরের দরজা খুলেই লম্পট রফিক দৌড়ে পালায়। এসময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার করতে থাকে। পরে বিষয়টি তার বাবা-মার কাছে খুলে বলে।

স্কুল ছাত্রীর দরিদ্র বাবা অভিযোগ করেন, রফিক এলাকার একজন লম্পট হিসেবে পরিচিত। এলাকার ছেলে বলে মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়ি আসতো। আমার মেয়ে সর্ম্পকে ভাতিজি হয়। অথচ সুযোগ বুঝে বাড়ি কেউ না থাকায় আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার মেয়ের এমন সর্বনাশের উপযুক্ত শাস্তি চাই। এ বিষয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরদিন শনিবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় রফিককে অভিযুক্ত করে একটি মামলা (নং-১০) দায়ের করেছি।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রফিক শেখ এলাকা ছাড়া রয়েছে। থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে পরিবারের সবাই পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল মোল্লা বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। খারাপ মানুষ না হলে কি এমন কাজ করতে পারে। প্রকৃত অপরাধী হলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিত।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই সাথে সে নারী ও শিশু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অপরাধীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।