ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীতে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করায় অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। এছাড়া প্রায় ৬৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে। ভ্রাম্যমান আদালত আটককৃত জেলেদের প্রত্যেককে এক মাসের কারাদন্ড দিয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় অভিযানকালে জেলেদের কাছ থেকে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দেওয়া হয় এবং জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া গোয়ালন্দ উপজেলা এলাকায় ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোদার বাজার, জৌকুড়া, ধাওয়াপাড়া ও গোয়ালন্দের অন্তার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স কমিটি। এসময় জেলেদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে রোববার বেলা সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার গোদার বাজার পদ্মা নদীর পারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইফুল হুদা জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেন। এছাড়া ৯ জন জেলের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। এর আগে শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নদী থেকে আরো প্রায় ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ ও ১০ হাজার টাকা করে ভ্রাম্যমান আদালত। আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, এনডিসি মো. সাইফুল হুদা। অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান।
অপরদিকে শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলার সমন্বিত টাস্কফোর্স কমিটির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম। তিনি নদী থেকে জেলেদের ফেলে যাওয়া ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেন। এসময় তাঁর সাথে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বিত টাস্কফোর্সের ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারী কমিশনার মো. সাইফুল হুদা বলেন, সরকারী আইন অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে মৎস্য সংরক্ষন আইন ১৮৬০ এর (১৮৮) ধারা মোতাবেক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে ৯ জেলেকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম খানায় প্রদান এবং জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।