০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দের পদ্মায় ধরা পড়লো ৬৬ কেজি ওজনের তিনটি পাঙ্গাশ মাছ

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদুরে পদ্মা নদীতে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আজ বুধবার ভোরের দিকে প্রায় ৬৬ কেজি ওজনের তিনটি বড় পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলে রহমান হালদারের জালে মাছটির ওজন ছিল ২৪ কেজি। অপর দুই জেলের জালে ২২ ও ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ ছিল। দৌলতদিয়া বাজার আড়তদারের ঘর থেকে প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ টাকায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙ্গাশটি বিক্রি হয়েছে।

দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট ও জেলেরা জানায়, তিন দিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় কিছু বড় মাছ ধরা পড়ছে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পদ্মায় জাল ফেলে অন্যান্যদের মতো জেলে রহমান হালদারও বসে থাকেন। রাতে দুই বার জাল তুলে তেমন একটা মাছ পাননি। রাত শেষে ভোরের দিকে জাল টেনে তোলার সময় ঝাকি দিলে রহমান হালদার ও তার সঙ্গীরা বুঝতে পারেন জালে বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তোলার পর দেখতে পান বড় আকরের একটি পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। দেরি না করে দ্রুত মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বিকল্প সড়ক সংলগ্ন আনোয়ার খাঁনের আড়তে নিয়ে তুলেন। সেখানে ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ। নিলামে তুললে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি কিনে নেন। পরবর্তীতে তিনি বড় এই পাঙ্গাশ মাছটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় জমায়।

মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান, সকালে আনোয়ার খাঁনের আড়ত থেকে কাঁচা প্রায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে মোট ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। মাছটি বেশি দামে বিক্রির আশায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মুঠোফোনে ছবি তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। একই সাথে পরিচিত বিভিন্ন বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতির সাথে যোগাযোগ করছি। আশা করি আজকের মধ্যেই মাছটি ভাল দামে বিক্রি করতে পারবো।

গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, এ মৌসুমে এখন পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যেই বড় এ ধরনের মাছ পাওয়া যাবে। মাঝে কিছুদিন পানি বাড়তে থাকায় মাছ অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছিল। বর্তমানে দুই-তিন দিন ধরে পানি কমতে থাকায় আবার বড় বড় পাঙ্গাগ, বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত তিন জেলের জালে তিনটি বড় পাঙ্গাশ ধরা পড়েছে।

তিনি বলেন, জেলেদের জালে তিনটি বড় পাঙ্গাশ মাছের মধ্যে রহমান হালদারের জালে ধরা পড়া মাছটির ওজন ছিল ২৪ কেজি। এছাড়া একটি ২২ ও আরো একটি ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ে। আগের দিন সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে পদ্মা নদীতে প্রায় ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে। তবে মিঠা পানির সুস্বাদু এতবড় মাছ এখন খুব একটা দেখা যায় না। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

গোয়ালন্দের পদ্মায় ধরা পড়লো ৬৬ কেজি ওজনের তিনটি পাঙ্গাশ মাছ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:০৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদুরে পদ্মা নদীতে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আজ বুধবার ভোরের দিকে প্রায় ৬৬ কেজি ওজনের তিনটি বড় পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলে রহমান হালদারের জালে মাছটির ওজন ছিল ২৪ কেজি। অপর দুই জেলের জালে ২২ ও ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ ছিল। দৌলতদিয়া বাজার আড়তদারের ঘর থেকে প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ টাকায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙ্গাশটি বিক্রি হয়েছে।

দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট ও জেলেরা জানায়, তিন দিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় কিছু বড় মাছ ধরা পড়ছে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পদ্মায় জাল ফেলে অন্যান্যদের মতো জেলে রহমান হালদারও বসে থাকেন। রাতে দুই বার জাল তুলে তেমন একটা মাছ পাননি। রাত শেষে ভোরের দিকে জাল টেনে তোলার সময় ঝাকি দিলে রহমান হালদার ও তার সঙ্গীরা বুঝতে পারেন জালে বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তোলার পর দেখতে পান বড় আকরের একটি পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। দেরি না করে দ্রুত মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বিকল্প সড়ক সংলগ্ন আনোয়ার খাঁনের আড়তে নিয়ে তুলেন। সেখানে ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ। নিলামে তুললে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি কিনে নেন। পরবর্তীতে তিনি বড় এই পাঙ্গাশ মাছটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় জমায়।

মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান, সকালে আনোয়ার খাঁনের আড়ত থেকে কাঁচা প্রায় ২৪ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে মোট ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। মাছটি বেশি দামে বিক্রির আশায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মুঠোফোনে ছবি তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। একই সাথে পরিচিত বিভিন্ন বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতির সাথে যোগাযোগ করছি। আশা করি আজকের মধ্যেই মাছটি ভাল দামে বিক্রি করতে পারবো।

গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, এ মৌসুমে এখন পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যেই বড় এ ধরনের মাছ পাওয়া যাবে। মাঝে কিছুদিন পানি বাড়তে থাকায় মাছ অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছিল। বর্তমানে দুই-তিন দিন ধরে পানি কমতে থাকায় আবার বড় বড় পাঙ্গাগ, বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত তিন জেলের জালে তিনটি বড় পাঙ্গাশ ধরা পড়েছে।

তিনি বলেন, জেলেদের জালে তিনটি বড় পাঙ্গাশ মাছের মধ্যে রহমান হালদারের জালে ধরা পড়া মাছটির ওজন ছিল ২৪ কেজি। এছাড়া একটি ২২ ও আরো একটি ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ে। আগের দিন সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে পদ্মা নদীতে প্রায় ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে। তবে মিঠা পানির সুস্বাদু এতবড় মাছ এখন খুব একটা দেখা যায় না। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে।