০৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী পৌরসভায নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন রন্টু চৌধুরী

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলার সাবেক গভর্নর মরহুম এডভোকেট আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু। এবার রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তার এ আগমনে এখন সর্বত্রই আলোচনা চলছে।
বাবার মতই রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু ছাত্রজীবনে ১৯৭৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ৮০ এর দশকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ গঠনে অন্যতম সংগঠক হিসেবে ও ১৯৮৬ সালের দিকে জেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে কার্যরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী এমপি’র নির্দেশক্রমে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠন তৈরির সংগঠক হিসেবে কাজে আত্মনিয়োগ এবং তা সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের দিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু রাজবাড়ী পৌরসভা মেয়র প্রার্থী হচ্ছে। এরই মাঝে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সকল মহলে তার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।

গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, রাজবাড়ী পৌরসভার আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী হতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বিশদ আলোচনা করছেন। দলের নেতাকর্মীরা তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। রাজবাড়ী পৌরসভা সব মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, মানুষের অধিকার যেন সমুন্নত থাকে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার পথ চলা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্মানিত পৌরবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। আপনাদের দোয়ায় যেন সততাকে সম্বল করে ঈমানের পথে চলতে পারি।

এরশাদ বিরোধী এবং খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে চলমান অবস্থায় হঠাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাজার ১৯৯৭ সালের দিকে একনেক সভায় জেলা শহরের ১৮ টি মহিলা কলেজকে জাতীয়করণের প্রস্তাব অনুমোদন করেন, এই প্রক্রিয়ায় রাজবাড়ী আদর্শ মহিলা কলেজ কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৩১ আগস্ট ওইসব কলেজ শিক্ষকদের সরকারি চাকরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন বাধ্য হয়ে আমাকে রাজনীতি ছেড়ে চাকুরীতে যেতে হয়। কিন্তু রাজনীতির ছারলেও চিন্তা-চেতনায় সব সময় দলের প্রতি একটি অকৃত্তিম আগ্রহ ছিল। হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু চেতনায় শেখ হাসিনা এটা আমার মূলমন্ত্র। বর্তমানে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আমি আবার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে মৌখিক আবেদন করি আমাকে যোগ্যতা অনুসারে একটা পদ দেয়ার জন্য।

আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার ছোট বোন সালমা চৌধুরী রুমা জাতীয় সংসদ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৩৪ ও সাবেক সদস্য জেলা ছাত্রলীগ। আমার সহধর্মিনী রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা রাজবাড়ীর চেয়ারম্যান। বড় ভাই সেলিম রেজা চৌধুরী শ্রমিক ইউনিয়নের রাজবাড়ী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

রাজবাড়ী পৌরসভায নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন রন্টু চৌধুরী

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:২২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলার সাবেক গভর্নর মরহুম এডভোকেট আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু। এবার রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তার এ আগমনে এখন সর্বত্রই আলোচনা চলছে।
বাবার মতই রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু ছাত্রজীবনে ১৯৭৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ৮০ এর দশকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ গঠনে অন্যতম সংগঠক হিসেবে ও ১৯৮৬ সালের দিকে জেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে কার্যরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী এমপি’র নির্দেশক্রমে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠন তৈরির সংগঠক হিসেবে কাজে আত্মনিয়োগ এবং তা সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের দিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু রাজবাড়ী পৌরসভা মেয়র প্রার্থী হচ্ছে। এরই মাঝে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সকল মহলে তার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।

গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, রাজবাড়ী পৌরসভার আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী হতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বিশদ আলোচনা করছেন। দলের নেতাকর্মীরা তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। রাজবাড়ী পৌরসভা সব মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, মানুষের অধিকার যেন সমুন্নত থাকে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার পথ চলা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্মানিত পৌরবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। আপনাদের দোয়ায় যেন সততাকে সম্বল করে ঈমানের পথে চলতে পারি।

এরশাদ বিরোধী এবং খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে চলমান অবস্থায় হঠাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাজার ১৯৯৭ সালের দিকে একনেক সভায় জেলা শহরের ১৮ টি মহিলা কলেজকে জাতীয়করণের প্রস্তাব অনুমোদন করেন, এই প্রক্রিয়ায় রাজবাড়ী আদর্শ মহিলা কলেজ কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৩১ আগস্ট ওইসব কলেজ শিক্ষকদের সরকারি চাকরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন বাধ্য হয়ে আমাকে রাজনীতি ছেড়ে চাকুরীতে যেতে হয়। কিন্তু রাজনীতির ছারলেও চিন্তা-চেতনায় সব সময় দলের প্রতি একটি অকৃত্তিম আগ্রহ ছিল। হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু চেতনায় শেখ হাসিনা এটা আমার মূলমন্ত্র। বর্তমানে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আমি আবার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে মৌখিক আবেদন করি আমাকে যোগ্যতা অনুসারে একটা পদ দেয়ার জন্য।

আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার ছোট বোন সালমা চৌধুরী রুমা জাতীয় সংসদ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৩৪ ও সাবেক সদস্য জেলা ছাত্রলীগ। আমার সহধর্মিনী রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা রাজবাড়ীর চেয়ারম্যান। বড় ভাই সেলিম রেজা চৌধুরী শ্রমিক ইউনিয়নের রাজবাড়ী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।