০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় জেলেদের জালে ৩০ কেজির ১টি ও ৩২ কেজি ওজনের দুটি বাগাড়

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর দৌলতদিয়ায় জেলেদের জালে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি বড় বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। চলতি মৌসুমে এতবড় বাগাইড় মাছ এই প্রথম ধরা পড়লো। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি সকালে দৌলতদিয়া বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসলে স্থানীয় এক আড়তে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি ৯৫০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার টাকায় কিনে নেন। তিনি বিক্রির জন্য ১,১৫০ টাকা কেজি দরে দাম হাঁকছেন। তবে কমবেশি হলে তিনি বিক্রি করে দিবেন।

এছাড়া ঘাট এলাকার আরেক মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা ৩২ কেজি ওজনের দুটি মাঝারী আকারের বাগাড়, একটি কাতল, একটি রিঠা মাছ ৩৫ হাজার টাকায় কিনেন। এরমধ্যে একটি বাগাইড়ের ওজন ১৮ কেজি ও আরেকটির ওজন ১৪ কেজি।

শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজার থেকে মাছটি কিনে আনার পর চান্দু মোল্লা ৫ নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন তার আড়ত ঘরে নিয়ে আসলে উৎসুক মানুষ দেখতে ভিড় করেন। ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে আসা অনেক মানুষও মাছটি এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় জমান।

চান্দু মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়া ৬নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন বাড়ি জেলে হজরত আলী মন্ডলের জালে বড় বাগাড় মাছটি ধরা পড়ে। হজরত আলী মন্ডল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সঙ্গীদের সাথে করে নদীতে মাছ ধরতে যায়। রাতে তেমন মাছ না পাওয়ায় হতাশ হন। রাত শেষে জাল তুলতে থাকলে বড় ধরনের ঝাকি অনুভব করেন। বুঝতে পারেন বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। জাল তোলা শেষে নৌকায় তুলতে গেলে বড় ধরনের ঝাকি দিলে বুঝতে বাকি থাকে না জালে বিশাল আকারের বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে।

 

হজরত আলী দেরি না করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে দুলাল মন্ডলের আড়তে। ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ৩০ কেজির মতো হয়েছে। নিলামে অন্যান্যদের সাথে চান্দু মোল্লাও যোগ দেন। সর্বোচ্চ দরতাদা হিসেবে চান্দু মোল্লা ৯৫০ টাকা কেজি দরে মাছ ২৮ হাজার টাকায় কিনে নেন। বাগাড় মাছটির দাম হাঁকছেন ১,১৫০ টাকা কেজি হিসেবে। তবে ১,০৫০ থেকে ১,১০০টাকা কেজি দর হলে তিনি বিক্রি করে দিবেন। মাছটি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে আরেক জেলে পরান হালদারের জালে ধরা পড়া ১৮ কেজি ও ১৪ কেজি ওজনের আরো দুটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। সেই সাথে ৮ কেজি ওজনের একটি কাতল ও দেড় কেজি ওজনের একটি রিঠা মাছ আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা ওই দুটি বাগাইড়, কাতল ও দেড় কেজি ওজনের রিটা মাছ ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন।

মাসুদ মোল্লা বলেন, মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে পরান হালদার বৃহস্পতিবার রাতে আরিচার কাছ থেকে জাল ফেলতে ফেলতে গোয়ালন্দে প্রবেশ করে। রাত শেষে দৌলতদিয়ার পদ্মা নদী থেকে ১৮ কেজি ও ১৪ কেজি ওজনের দুটি বাগাড়, ৮ কেজি ওজনের একটি কাতল ও দেড় কেজি ওজনের একটি রিঠা মাছ জালে ধরা পড়ে। সব মাছ সকালে তিনি দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে আড়তদার আনোয়ার খার ঘরে নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি (মাসুদ) বাগাড় দুটি ৮৫০ টাকা কেজি দরে, কাতলটি ৭৫০ টাকা কেজি ও রিঠা মাছ ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে কিনেন। মাছ ঢাকায় বিক্রির জন্য পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এ ধরনের মাছ মাঝে মধ্যে দেখা মিলছে। তবে মাঝে মধ্যে পদ্মা নদীতে বড় বড় বাগাড়, পাঙ্গাস বা কাতল মাছ পাওয়া সবার জন্য সুখবর। আমার ধারণা এই মৌসুমে আরো বড় বড় অনেক মাছ ধরা পড়বে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

পদ্মায় জেলেদের জালে ৩০ কেজির ১টি ও ৩২ কেজি ওজনের দুটি বাগাড়

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর দৌলতদিয়ায় জেলেদের জালে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি বড় বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। চলতি মৌসুমে এতবড় বাগাইড় মাছ এই প্রথম ধরা পড়লো। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি সকালে দৌলতদিয়া বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসলে স্থানীয় এক আড়তে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি ৯৫০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার টাকায় কিনে নেন। তিনি বিক্রির জন্য ১,১৫০ টাকা কেজি দরে দাম হাঁকছেন। তবে কমবেশি হলে তিনি বিক্রি করে দিবেন।

এছাড়া ঘাট এলাকার আরেক মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা ৩২ কেজি ওজনের দুটি মাঝারী আকারের বাগাড়, একটি কাতল, একটি রিঠা মাছ ৩৫ হাজার টাকায় কিনেন। এরমধ্যে একটি বাগাইড়ের ওজন ১৮ কেজি ও আরেকটির ওজন ১৪ কেজি।

শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজার থেকে মাছটি কিনে আনার পর চান্দু মোল্লা ৫ নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন তার আড়ত ঘরে নিয়ে আসলে উৎসুক মানুষ দেখতে ভিড় করেন। ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে আসা অনেক মানুষও মাছটি এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় জমান।

চান্দু মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়া ৬নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন বাড়ি জেলে হজরত আলী মন্ডলের জালে বড় বাগাড় মাছটি ধরা পড়ে। হজরত আলী মন্ডল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সঙ্গীদের সাথে করে নদীতে মাছ ধরতে যায়। রাতে তেমন মাছ না পাওয়ায় হতাশ হন। রাত শেষে জাল তুলতে থাকলে বড় ধরনের ঝাকি অনুভব করেন। বুঝতে পারেন বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। জাল তোলা শেষে নৌকায় তুলতে গেলে বড় ধরনের ঝাকি দিলে বুঝতে বাকি থাকে না জালে বিশাল আকারের বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে।

 

হজরত আলী দেরি না করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে দুলাল মন্ডলের আড়তে। ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ৩০ কেজির মতো হয়েছে। নিলামে অন্যান্যদের সাথে চান্দু মোল্লাও যোগ দেন। সর্বোচ্চ দরতাদা হিসেবে চান্দু মোল্লা ৯৫০ টাকা কেজি দরে মাছ ২৮ হাজার টাকায় কিনে নেন। বাগাড় মাছটির দাম হাঁকছেন ১,১৫০ টাকা কেজি হিসেবে। তবে ১,০৫০ থেকে ১,১০০টাকা কেজি দর হলে তিনি বিক্রি করে দিবেন। মাছটি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে আরেক জেলে পরান হালদারের জালে ধরা পড়া ১৮ কেজি ও ১৪ কেজি ওজনের আরো দুটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। সেই সাথে ৮ কেজি ওজনের একটি কাতল ও দেড় কেজি ওজনের একটি রিঠা মাছ আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা ওই দুটি বাগাইড়, কাতল ও দেড় কেজি ওজনের রিটা মাছ ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন।

মাসুদ মোল্লা বলেন, মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে পরান হালদার বৃহস্পতিবার রাতে আরিচার কাছ থেকে জাল ফেলতে ফেলতে গোয়ালন্দে প্রবেশ করে। রাত শেষে দৌলতদিয়ার পদ্মা নদী থেকে ১৮ কেজি ও ১৪ কেজি ওজনের দুটি বাগাড়, ৮ কেজি ওজনের একটি কাতল ও দেড় কেজি ওজনের একটি রিঠা মাছ জালে ধরা পড়ে। সব মাছ সকালে তিনি দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে আড়তদার আনোয়ার খার ঘরে নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি (মাসুদ) বাগাড় দুটি ৮৫০ টাকা কেজি দরে, কাতলটি ৭৫০ টাকা কেজি ও রিঠা মাছ ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে কিনেন। মাছ ঢাকায় বিক্রির জন্য পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এ ধরনের মাছ মাঝে মধ্যে দেখা মিলছে। তবে মাঝে মধ্যে পদ্মা নদীতে বড় বড় বাগাড়, পাঙ্গাস বা কাতল মাছ পাওয়া সবার জন্য সুখবর। আমার ধারণা এই মৌসুমে আরো বড় বড় অনেক মাছ ধরা পড়বে।