আবুল হোসেনঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি সংলগ্ন ডোবা থেকে বুধবার শাহানাজ বেগম ওরফে টুনি (২৫) নামের এক যৌনকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে নওগা শহরের রেলকলোনী এলাকার মো. কালাম এর মেয়ে। প্রায় চার বছর ধরে সে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বসবাস করে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির দক্ষিণ পাশের স্থানীয় সাত্তার ফকিরের ডোবায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করে। তারা দ্রুত বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে এগারটার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর বারোটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে সুরতাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠায়। শাহানাজের পোশাক ও শরীরে সাজগোজ করা ছিল। কপালে টিপ ও ঠোটে লিপিষ্টিক লাগানো ছিল। যৌনপল্লির পরান-আলেয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো। শাহনাজ আক্তার টুনি ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারী আদালত থেকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিড করে যৌনপল্লীর আলেয়ার বাড়িতে আসেন।
স্থানীয় লোকজন মৃত লাশটি যৌনকর্মী শাহানাজ বেগম ওরফে টুনির বলে শনাক্ত করে। এসময় কেউ কেউ জানায় শাহানাজ দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগতে ছিলেন। বুধবার ভোরের দিকে পল্লি সংলগ্ন পাশের সাত্তার ফকিরের ডোবায় পোশাক ধুইতে যায়। অসাবধানতা বশত সে পানিতে পড়ে গেলে আর উঠতে পারেনি। অনেকের ধারণা মৃগী রোগের কারণে পানিতে পড়ে গেলে আর উঠতে পারেনি। তবে অনেকের কাছে বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে। মৃগী রোগ থাকলে সে ভোরে সাজগোজ করে কোথায় যাচ্ছিল? কারো কারো ধারণা রাতে খরিদ্দারদের মনোরঞ্জন শেষে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ডোবায় পড়ে গিয়ে মারা যেতে পারে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, যৌনপল্লি সংলগ্ন পাশের ডোবা থেকে যৌনকর্মী শাহানাজের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বন্যার পানিতে ভরপুর ডোবায় পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর বিষয়টি পরিস্কার ধারণা পেতে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।