০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে সুন্নাত মোল্লা হত্যা, পাঁচ দিনেও গ্রেপ্তার নেই, রিক্সাও উদ্ধার হয়নি

রাজবাড়ীমেইল ডেস্কঃ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার মোড় সংলগ্ন মরা পদ্মার ডোবা থেকে ১৭ জুলাই রিক্সা চালক সুন্নাত মোল্লার লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পরও অগ্রগতি নেই। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। খোয়া যাওয়া রিক্সাট্রি উদ্ধার হয়নি। পরিবারের দাবী, দ্রুত হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হোক। পুলিশের দাবী, এ বিষয়ে তারা তৎপর রয়েছে। সুন্নাত মোল্লা গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের মৃত আকবর আলী মোল্লার ছেলে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন মহাসড়কের পূর্বপাশে তেনাপচা ডাইভার্সন রোডের বিপরিতে এ.এন.এ ইটভাটার কাছে মরা পদ্মার ডোবার সড়কের কিনারে অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে বেলা দুইটার দিকে সুন্নাত মোল্লার (৫৫) লাশ উদ্ধার করে। এসময় তার গলায় লাল রঙের গামছা দিয়ে শ^াসরোধ করা ছিল। মাথার বাম পাশে ধারালো চাপাতির দুটি কোপের চিহৃ ছিল। পাশেই পড়ে ছিল একটি ধারালো চাপাতি এবং এক জোড়া বার্মিজ সেন্ডেল। ঘটনার একদিন পর ১৯ জুলাই অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে ছেলে আবু তাদের মোল্লা একটি হত্যা মামলা (নং-১১) দায়ের করেন।

এর আগে নিহতের বড় ভাই আনোয়ার মোল্লা ঘটনাস্থলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেও চলে যান। পুলিশের ঝামেলা এড়াতে তিনি ভয়ে এড়িয়ে বাড়ি চলে যান। বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন তার ছোট ভাই সুন্নাত মোল্লা আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে রিক্সা নিয়ে বের হওয়ার পর আর ফিরেনি। দ্রুত তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ভাই সুন্নাত মোল্লার লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন। এসময় ভাইয়ের লাশ জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আনোয়ার মোল্লা বলেন, দুর্ঘটার আগের দিন তার ভাই একটি রিক্সা কিনেন। বাড়িতে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে থাকলেও ছেলে সম্প্রতি বড় ছেলে পৃথক হওয়ায় সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খান। উপায় না পেয়ে রিক্সা কিনে উপার্জনের ব্যবস্থা করেন। ১৬ জুলাই রাতে বাড়ি থেকে রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হওয়ার পর আর ফিরেনি। সে খুব সহজ-সরল প্রকৃতির ছিলেন। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) নিহত সুন্নাত মোল্লার বড় ছেলে ও মামলার বাদী আবু তাহের মোল্লা বলেন, আমাদের সাথে কারো কোন বিরোধ নেই। কি কারণে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে জানিনা। কাউকে সন্দেহ করতে পারছিনা। পুলিশ বলেছে, কাউকে সন্দেহ হলে আমাদেরকে জানাতে। কিন্তু এভাবে কতদিন থাকবে। পাঁচদিন হলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি। এমনকি তার রিক্সাটিও পাওয়া যায়নি। আমরা বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দেখতে চাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, রিক্সা চালক সুন্নাত মোল্লার লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর ১৯ জুলাই বিকেলে পরিবার থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। খোয়া যাওয়া রিক্সাটিও উদ্ধার করা যায়নি। তবে আশা করি শীঘ্রই অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হবো।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

গোয়ালন্দে সুন্নাত মোল্লা হত্যা, পাঁচ দিনেও গ্রেপ্তার নেই, রিক্সাও উদ্ধার হয়নি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

রাজবাড়ীমেইল ডেস্কঃ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার মোড় সংলগ্ন মরা পদ্মার ডোবা থেকে ১৭ জুলাই রিক্সা চালক সুন্নাত মোল্লার লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পরও অগ্রগতি নেই। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। খোয়া যাওয়া রিক্সাট্রি উদ্ধার হয়নি। পরিবারের দাবী, দ্রুত হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হোক। পুলিশের দাবী, এ বিষয়ে তারা তৎপর রয়েছে। সুন্নাত মোল্লা গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের মৃত আকবর আলী মোল্লার ছেলে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন মহাসড়কের পূর্বপাশে তেনাপচা ডাইভার্সন রোডের বিপরিতে এ.এন.এ ইটভাটার কাছে মরা পদ্মার ডোবার সড়কের কিনারে অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে বেলা দুইটার দিকে সুন্নাত মোল্লার (৫৫) লাশ উদ্ধার করে। এসময় তার গলায় লাল রঙের গামছা দিয়ে শ^াসরোধ করা ছিল। মাথার বাম পাশে ধারালো চাপাতির দুটি কোপের চিহৃ ছিল। পাশেই পড়ে ছিল একটি ধারালো চাপাতি এবং এক জোড়া বার্মিজ সেন্ডেল। ঘটনার একদিন পর ১৯ জুলাই অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে ছেলে আবু তাদের মোল্লা একটি হত্যা মামলা (নং-১১) দায়ের করেন।

এর আগে নিহতের বড় ভাই আনোয়ার মোল্লা ঘটনাস্থলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেও চলে যান। পুলিশের ঝামেলা এড়াতে তিনি ভয়ে এড়িয়ে বাড়ি চলে যান। বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন তার ছোট ভাই সুন্নাত মোল্লা আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে রিক্সা নিয়ে বের হওয়ার পর আর ফিরেনি। দ্রুত তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ভাই সুন্নাত মোল্লার লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন। এসময় ভাইয়ের লাশ জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আনোয়ার মোল্লা বলেন, দুর্ঘটার আগের দিন তার ভাই একটি রিক্সা কিনেন। বাড়িতে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে থাকলেও ছেলে সম্প্রতি বড় ছেলে পৃথক হওয়ায় সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খান। উপায় না পেয়ে রিক্সা কিনে উপার্জনের ব্যবস্থা করেন। ১৬ জুলাই রাতে বাড়ি থেকে রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হওয়ার পর আর ফিরেনি। সে খুব সহজ-সরল প্রকৃতির ছিলেন। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) নিহত সুন্নাত মোল্লার বড় ছেলে ও মামলার বাদী আবু তাহের মোল্লা বলেন, আমাদের সাথে কারো কোন বিরোধ নেই। কি কারণে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে জানিনা। কাউকে সন্দেহ করতে পারছিনা। পুলিশ বলেছে, কাউকে সন্দেহ হলে আমাদেরকে জানাতে। কিন্তু এভাবে কতদিন থাকবে। পাঁচদিন হলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি। এমনকি তার রিক্সাটিও পাওয়া যায়নি। আমরা বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দেখতে চাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, রিক্সা চালক সুন্নাত মোল্লার লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর ১৯ জুলাই বিকেলে পরিবার থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। খোয়া যাওয়া রিক্সাটিও উদ্ধার করা যায়নি। তবে আশা করি শীঘ্রই অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হবো।