০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ

রাজবাড়ীমেইল ডেস্কঃ শনিবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। আব্দুর রহমান নামের এক জেলের জালে এই মাছটি ধরা পড়ে। এতবড় মাছ পেয়ে জেলে মহাখুশি। পরে তিনি স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।

শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে জেলে আব্দুর রহমান জানান, কয়েকদিন পর শুক্রবার রাতে তিনিসহ কয়েক সঙ্গীকে সাথে নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যান। এক প্রকার সারারাত কোন মাছ না পেয়ে তারা হতাশ হন। রাত শেষে আজ শনিবার ভোরের আলোয় যখন নদীর পানি চিক চিক করছিল ঠিক তখনই তারা জাল তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। জাল প্রায় অর্ধেকটা তোলার সাথে বড় এক ঝাকি দিলে সবাই বুঝতে পারেন জালে বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা সময় নিয়ে জাল টেনে নৌকায় তুললে দেখেন বড় এক বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। বহুদিন পর তাদের জালে এতবড় মাছ আটকা পড়ায় সবাই মহাখুশিতে আটখানা। পরে দ্রুত মাছটি টেনে নৌকায় তুলে বিক্রি করতে সোজা চলে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজারে। সেখানে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৯০০ টাকা কেজি প্রতি দাম দিয়ে মাছটি কিনে নেন। পরে মাছটি রশি দিয়ে ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে বেধে রেখে ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন।

ঘাট দিয়ে ফেরিতে ওঠানামার সময় পন্টুনের সাথে এতবড় মাছ বেধে রাখা দেখে উৎসুক অনেকে ভিড় করছেন। ঢাকাগামী আশিকুর রহমান নামের এক যাত্রী এতবড় পদ্মা নদীর তাজা বাগাড় মাছ দেখে অনেকটা বিষ্মিত হন। এসময় তিনি বলেন, ঢাকায় মাছ বাজারে অনেক ধরনের মাছ দেখি। কিন্তু বেশিরভাগ মরা। ফেরিঘাটে এভাবে বেধে রাখা এতবড় তাজা মাছ দেখার সৌভাগ্য কয়জনের হয়। কিনতে তো আর পারবো না, তাই মনটা ভরে দেখছি।

সোহেল মোল্লা বলেন, জেলে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দর হিসেবে মোট ১৯ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে বাগাড় মাছটি কিনেছি। এখন মাছটি ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির চেষ্টা করছি। মাছটি দৌলতদিয়ার ৫নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে বেধে রেখেছি। এই ঘাট দিয়ে ঈদ শেষে এখন অনেকেই কর্মস্থলে ফিরছেন। উৎসুক মানুষ মাছটি এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। এই ফাকে তিনিও মাছটি দেখাচ্ছেন যদি কারো পছন্দ হয়ে যায়। তাহলে ফেরিঘাট থেকেই বিক্রি করে দিবেন। একই সাথে তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পূর্ব পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করছেন।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২২ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

রাজবাড়ীমেইল ডেস্কঃ শনিবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। আব্দুর রহমান নামের এক জেলের জালে এই মাছটি ধরা পড়ে। এতবড় মাছ পেয়ে জেলে মহাখুশি। পরে তিনি স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।

শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে জেলে আব্দুর রহমান জানান, কয়েকদিন পর শুক্রবার রাতে তিনিসহ কয়েক সঙ্গীকে সাথে নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যান। এক প্রকার সারারাত কোন মাছ না পেয়ে তারা হতাশ হন। রাত শেষে আজ শনিবার ভোরের আলোয় যখন নদীর পানি চিক চিক করছিল ঠিক তখনই তারা জাল তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। জাল প্রায় অর্ধেকটা তোলার সাথে বড় এক ঝাকি দিলে সবাই বুঝতে পারেন জালে বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা সময় নিয়ে জাল টেনে নৌকায় তুললে দেখেন বড় এক বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। বহুদিন পর তাদের জালে এতবড় মাছ আটকা পড়ায় সবাই মহাখুশিতে আটখানা। পরে দ্রুত মাছটি টেনে নৌকায় তুলে বিক্রি করতে সোজা চলে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজারে। সেখানে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৯০০ টাকা কেজি প্রতি দাম দিয়ে মাছটি কিনে নেন। পরে মাছটি রশি দিয়ে ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে বেধে রেখে ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন।

ঘাট দিয়ে ফেরিতে ওঠানামার সময় পন্টুনের সাথে এতবড় মাছ বেধে রাখা দেখে উৎসুক অনেকে ভিড় করছেন। ঢাকাগামী আশিকুর রহমান নামের এক যাত্রী এতবড় পদ্মা নদীর তাজা বাগাড় মাছ দেখে অনেকটা বিষ্মিত হন। এসময় তিনি বলেন, ঢাকায় মাছ বাজারে অনেক ধরনের মাছ দেখি। কিন্তু বেশিরভাগ মরা। ফেরিঘাটে এভাবে বেধে রাখা এতবড় তাজা মাছ দেখার সৌভাগ্য কয়জনের হয়। কিনতে তো আর পারবো না, তাই মনটা ভরে দেখছি।

সোহেল মোল্লা বলেন, জেলে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দর হিসেবে মোট ১৯ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে বাগাড় মাছটি কিনেছি। এখন মাছটি ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির চেষ্টা করছি। মাছটি দৌলতদিয়ার ৫নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে বেধে রেখেছি। এই ঘাট দিয়ে ঈদ শেষে এখন অনেকেই কর্মস্থলে ফিরছেন। উৎসুক মানুষ মাছটি এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। এই ফাকে তিনিও মাছটি দেখাচ্ছেন যদি কারো পছন্দ হয়ে যায়। তাহলে ফেরিঘাট থেকেই বিক্রি করে দিবেন। একই সাথে তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পূর্ব পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করছেন।