০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী ভাঙ্গনের কবলে রাজবাড়ীর মিজানপুরের ৬ কিলোমিটার এলাকার চার গ্রাম

ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ীঃ পদ্মায় পানি কমতে থাকায় ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। প্রতিদিন ভাঙ্গনে শত শত একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। স্রোতের তীব্রতায় ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে সিসি ব্লকে বাঁধানো নদী তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। এতে মারাত্বক হুমকিতে পরেছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি ও কয়েকশ জনবসতি ও স্থাপনা।

গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি কমতে থাকায় নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম মহাদেবপুর কালিতলা, চরসিলিমপুর, বড়চর বেনিনগর, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ৬কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র নদী ভাঙ্গ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনের কবলে পরে বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলী জমি। ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে এসব এলাকার কয়েকশ জনবসতি। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বড় চর বেনিগর এলাকার সিসিব্লকে বাঁধানো ৬০মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের। বার বার ভাঙ্গনের কবলে পরে শত শত বিঘা জমি, বাড়ি ঘর হারিয়ে এখন দিশেহারা তারা। নানা ধরনের সবজি ও ডালের ক্ষেত, গাছপালা নদীতে বিলীন হওয়ায় চরম সংকটে পরেছেন এসব এলাকার ভাঙ্গন কবলিত মানুষ। ভাঙ্গন ঠেকাতে বালুভর্তি জিওব্যাগের বস্তা ফেলা হলেও ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা।

মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, এবছর ২০ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘা পরিমান একটি জমি নিয়ে পটল চাষ করেছেন। কিন্তু ভাঙ্গনের কবলে পরে তার পটল ক্ষেত এখন নদীতে বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছর ভাঙ্গনের কবলে পরে তাদের জমিজমা ভিটেমাটি, ফসলী জমি সহ শত শত একর জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। বার বার ভাঙ্গনে এখন তাদের অবশিষ্ট আর কিছু নেই। এলাকার রহিম মিয়া, সেলিম, জয়নাল শেখ সহ অনেক ভাঙ্গন কবলিত মানুষ তাদের জমিজমা হারিয়ে দিশেহারা। বাড়ি ঘর হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। ভাঙ্গন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এ অঞ্চলের জনসাধারন।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বলেন, নদীতে পানি কমে যাওয়া ও উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতের তীব্রতায় কিছু কিছু স্থানে ভাঙ্গন দেখ দিয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হচ্ছে। এদিকে চর সিলিমপুর সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেখানেও বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলার কাজ করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে যেন কোন স্থানে না ভাঙ্গে সেদিকে তৎপর রয়েছেন তারা।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

নদী ভাঙ্গনের কবলে রাজবাড়ীর মিজানপুরের ৬ কিলোমিটার এলাকার চার গ্রাম

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ীঃ পদ্মায় পানি কমতে থাকায় ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। প্রতিদিন ভাঙ্গনে শত শত একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। স্রোতের তীব্রতায় ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে সিসি ব্লকে বাঁধানো নদী তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। এতে মারাত্বক হুমকিতে পরেছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি ও কয়েকশ জনবসতি ও স্থাপনা।

গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি কমতে থাকায় নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম মহাদেবপুর কালিতলা, চরসিলিমপুর, বড়চর বেনিনগর, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ৬কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র নদী ভাঙ্গ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনের কবলে পরে বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলী জমি। ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে এসব এলাকার কয়েকশ জনবসতি। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বড় চর বেনিগর এলাকার সিসিব্লকে বাঁধানো ৬০মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের। বার বার ভাঙ্গনের কবলে পরে শত শত বিঘা জমি, বাড়ি ঘর হারিয়ে এখন দিশেহারা তারা। নানা ধরনের সবজি ও ডালের ক্ষেত, গাছপালা নদীতে বিলীন হওয়ায় চরম সংকটে পরেছেন এসব এলাকার ভাঙ্গন কবলিত মানুষ। ভাঙ্গন ঠেকাতে বালুভর্তি জিওব্যাগের বস্তা ফেলা হলেও ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা।

মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, এবছর ২০ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘা পরিমান একটি জমি নিয়ে পটল চাষ করেছেন। কিন্তু ভাঙ্গনের কবলে পরে তার পটল ক্ষেত এখন নদীতে বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছর ভাঙ্গনের কবলে পরে তাদের জমিজমা ভিটেমাটি, ফসলী জমি সহ শত শত একর জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। বার বার ভাঙ্গনে এখন তাদের অবশিষ্ট আর কিছু নেই। এলাকার রহিম মিয়া, সেলিম, জয়নাল শেখ সহ অনেক ভাঙ্গন কবলিত মানুষ তাদের জমিজমা হারিয়ে দিশেহারা। বাড়ি ঘর হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। ভাঙ্গন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এ অঞ্চলের জনসাধারন।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বলেন, নদীতে পানি কমে যাওয়া ও উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতের তীব্রতায় কিছু কিছু স্থানে ভাঙ্গন দেখ দিয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হচ্ছে। এদিকে চর সিলিমপুর সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেখানেও বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলার কাজ করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে যেন কোন স্থানে না ভাঙ্গে সেদিকে তৎপর রয়েছেন তারা।