০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তাল পদ্মা নদীর ১৫ কেজির পাঙ্গাশ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি

ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মায় জেলেদের জালে ১৫কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি ২০ হাজার ২৫০ টাকায় এক ব্যাবসায়ী কিনে নেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাহির চর এলাকার পদ্মায় পাবনার বেরা এলাকার প্রবীণ জেলে মানিক হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি বিক্রির জন্য বিকেল ৫ টার দিকে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরি ঘাট কেসমত মোল্লার আড়তে আনা হলে পাঙাশটি উন্মুক্ত নিলামে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজিদরে ২০ হাজার ২৫০ টাকায় কিনে নেন ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ চান্দু মোল্লা।

জেলে মানিক হালদার জানান, তিনি সঙ্গীদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে বের হন। সারাদিন কোন মাছ না পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে বাহির চর দৌলতদিয়ায় এলাকায় জাল ফেলে পরে গুটিয়ে নৌকায় তুলছিলেন। নদীতে স্রোত থাকায় জাল তোলার সময় তেমন কিছু টের পাননি জেলেরা। পুরো জাল নৌকায় তুলতে দেখতে পান বড় একটি পাঙাশ উঠেছে। অনেক দিন পর বড় পাঙাশ পাওয়ায় জেলেরা খুশিতে আত্মহারা।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার আরিফা-চাঁদনি মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা বলেন, বড় একটি পাঙাশ ধরা পড়ার খবর পেয়ে ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ছুটে যান। সেখানে আড়তদার কেসমত মোল্লা নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পাঙাশটি কিনে নেন। মাছটি ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছটি কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ পেলে বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহারিয়ার জামান সাবু বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোত বইছে। বাতাসে নদী উত্তাল থাকায় বড় মাছ খুব একটা ধরা পড়ছে না। বেশ কয়েক দিন পর ১৫ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ধরা পড়ার খবরে জেলেদের পাশাপাশি তাঁরাও আনন্দিত।

তিনি বলেন, নদীতে পানি বেশি থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরো বেশি পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে জানান।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

উত্তাল পদ্মা নদীর ১৫ কেজির পাঙ্গাশ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মায় জেলেদের জালে ১৫কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি ২০ হাজার ২৫০ টাকায় এক ব্যাবসায়ী কিনে নেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাহির চর এলাকার পদ্মায় পাবনার বেরা এলাকার প্রবীণ জেলে মানিক হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি বিক্রির জন্য বিকেল ৫ টার দিকে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরি ঘাট কেসমত মোল্লার আড়তে আনা হলে পাঙাশটি উন্মুক্ত নিলামে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজিদরে ২০ হাজার ২৫০ টাকায় কিনে নেন ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ চান্দু মোল্লা।

জেলে মানিক হালদার জানান, তিনি সঙ্গীদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে বের হন। সারাদিন কোন মাছ না পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে বাহির চর দৌলতদিয়ায় এলাকায় জাল ফেলে পরে গুটিয়ে নৌকায় তুলছিলেন। নদীতে স্রোত থাকায় জাল তোলার সময় তেমন কিছু টের পাননি জেলেরা। পুরো জাল নৌকায় তুলতে দেখতে পান বড় একটি পাঙাশ উঠেছে। অনেক দিন পর বড় পাঙাশ পাওয়ায় জেলেরা খুশিতে আত্মহারা।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার আরিফা-চাঁদনি মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা বলেন, বড় একটি পাঙাশ ধরা পড়ার খবর পেয়ে ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ছুটে যান। সেখানে আড়তদার কেসমত মোল্লা নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পাঙাশটি কিনে নেন। মাছটি ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছটি কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ পেলে বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহারিয়ার জামান সাবু বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোত বইছে। বাতাসে নদী উত্তাল থাকায় বড় মাছ খুব একটা ধরা পড়ছে না। বেশ কয়েক দিন পর ১৫ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ধরা পড়ার খবরে জেলেদের পাশাপাশি তাঁরাও আনন্দিত।

তিনি বলেন, নদীতে পানি বেশি থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরো বেশি পাওয়া যেত। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলে জানান।