০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনার আ.লীগ নেতা গোয়ালন্দে হত্যায় ব্যবহৃত ট্রলার চালক গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ী জেলার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল পাবনার আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী বেপারীকে (৬৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রলার চালককে গ্রেপ্তার করেছে। ট্রলার চালকের নাম মো. রাশেদুল ইসলাম (২০)। সে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অফু মন্ডলের ছেলে। তাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২১ জুন দুপুর পৌনে একটার দিকে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের রাখালগাছি এলাকার স্থানীয় করিম প্রামানিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.লীগ নেতা আক্কাছ আলী বেপারী। এসময় নদী পথে ট্রলার যোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে ঘার পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পুনরায় ট্রলারযোগে ফিরে যায়। সন্ত্রাসীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সর্বহারা দলের সক্রিয় সদস্য। ঘটনাস্থল রাখালগাছির দূরত্ব গোয়ালন্দ ঘাট থানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।

রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) প্রাণবন্ধু বিশ্বাস জানান, সন্ত্রাসীরা যে ট্রলারে করে হত্যাকান্ডে অংশ গ্রহণ করেন ওই ট্রলারের চালক ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশে ছায়া তদন্ত হিসেবে কাজ করছিল ডিবি পুলিশের দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দিনগত গভীররাতে নিজ এলাকা থেকে রাশেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। একই সাথে রাশেদুল হত্যকান্ডে জড়িত অন্যান্য অজ্ঞাত সকল আসামীদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করেন। পরদিন গতকাল শুক্রবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করলে সে খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, হত্যাকান্ডের সময় সন্ত্রাসীরা যে ট্রলারটি ব্যবহার করেছিল ওই ট্রলার চালককে ডিবি পুলিশের দল গ্রেপ্তার করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে যে ১৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছিলেন তাতে তার নাম ছিলনা। তবে দায়েরকৃত পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

পাবনার আ.লীগ নেতা গোয়ালন্দে হত্যায় ব্যবহৃত ট্রলার চালক গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তি

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:০৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ী জেলার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল পাবনার আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী বেপারীকে (৬৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রলার চালককে গ্রেপ্তার করেছে। ট্রলার চালকের নাম মো. রাশেদুল ইসলাম (২০)। সে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অফু মন্ডলের ছেলে। তাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২১ জুন দুপুর পৌনে একটার দিকে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের রাখালগাছি এলাকার স্থানীয় করিম প্রামানিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.লীগ নেতা আক্কাছ আলী বেপারী। এসময় নদী পথে ট্রলার যোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে ঘার পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পুনরায় ট্রলারযোগে ফিরে যায়। সন্ত্রাসীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সর্বহারা দলের সক্রিয় সদস্য। ঘটনাস্থল রাখালগাছির দূরত্ব গোয়ালন্দ ঘাট থানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।

রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) প্রাণবন্ধু বিশ্বাস জানান, সন্ত্রাসীরা যে ট্রলারে করে হত্যাকান্ডে অংশ গ্রহণ করেন ওই ট্রলারের চালক ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশে ছায়া তদন্ত হিসেবে কাজ করছিল ডিবি পুলিশের দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দিনগত গভীররাতে নিজ এলাকা থেকে রাশেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। একই সাথে রাশেদুল হত্যকান্ডে জড়িত অন্যান্য অজ্ঞাত সকল আসামীদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করেন। পরদিন গতকাল শুক্রবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করলে সে খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, হত্যাকান্ডের সময় সন্ত্রাসীরা যে ট্রলারটি ব্যবহার করেছিল ওই ট্রলার চালককে ডিবি পুলিশের দল গ্রেপ্তার করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে যে ১৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছিলেন তাতে তার নাম ছিলনা। তবে দায়েরকৃত পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।