মঈন মৃধা, রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর রেলগেট এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের সামনে আজ বুধবার (১ জুন) সকাল ৯ টার দিকে ট্রাক, থ্রি-হুইলার ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয় জন সহ মোট সাত জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক মো. নাসির (৩৫), নয়ন শেখ (৯), মোঃ ইউসুফ (৬), মরিয়ম (৪০), মর্জিনা বেগম (৪০), শিলা খাতুন (২০) ও মশিরন বিবি (৬০)। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৮ জন।
স্থানীয় প্রতক্ষদর্শীরা জানান, রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-১৭৭৬) ও পাংশা থেকে ছেড়ে আসা ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা কালুখালীর চাঁদপুর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালো তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশার পেছনে থাকা সাদা রঙ্গের প্রাইভেট কারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে অটোরিকশায় থাকা ৩ জন মারা যায়। বাকিদেরকে আহত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আরও ৪ জন মারা যান। নিহতের মধ্যে ছয় জন একই পরিবারের সদস্য রয়েছেন। বাকি ১ জন অটোরিকশা চালক রয়েছেন।
দূর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের চালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তারা তাদের পাইকারে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। কালুখালীর ওই এলাকায় তারা ইজিবাইকের পেছনে ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে একটি দ্রুতগতির ট্রাক আসে। ইজিবাইক ট্রাক দিকে সাইড দেয়। কিন্তু ট্রাকটি ইজিবাইককে সামনে থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় তাদের গাড়ির চালক ডান দিকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। ট্রাকটি ডান দিকে চলে আসায় তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির সামনের কিছুটা অংশ ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ৯ টার দিকে কালুখালী ফায়ার সার্ভিসের সামনে ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। আমরা খবর পেয়ে কালুখালীর ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যায়। আমরা এখনো দূর্ঘটনাস্থলে আছি।
পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, কালুখালীর ত্রিমুখী সড়ক দূর্ঘনায় একই পরিবারের ৬ জন সহ মোট ৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের লাশ পাংশা হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছে।