০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় জেলের জালে ২২ কেজির ৩ বোয়াল, বিক্রি ৩৫ হাজার ৫ শ টাকা

ফিরোজ অঅহম্মেদ, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ২২ কেজি ওজনের ৩টি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। আজ সোমবার ভোরে পাবনার ঢালার চর এলাকার জেলে বলাই হালদারের জালে মাছ ৩টি ধরা পড়ে। ৩টি বোয়াল মাছের মধ্যে ১টির ওজন সাড়ে ৯ কেজি ও বাকি ২টির ওজন সাড়ে ১২ কেজি।

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা সাড়ে ৯ কেজির মাছটি ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং বাকি দুইটি ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৫ হাজার ৫২৫ টাকায় কিনে নেন। পরে মাছ তিনি বিক্রির জন্য তাঁর আড়ত ঘরে নিয়ে রাখেন।

ঘাট এলাকার মৎস্যজীবীরা জানান, বেশ কিছুদিন পদ্মা নদীর বড় কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। পাবনার আমিনপুর থানার ঢালার চর এলাকার জেলে বলাই হালদার গতকাল রোববার দিবাগত রাতে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে বের হন। রাতে তেমন একটা মাছ না পেয়ে তিনি এবং সঙ্গীরা অনেকটা হতাশ হন। আজ সোমবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদূরে জাল ফেলে টেনে নৌকায় তোলার সময় বোয়াল মাছ ৩টি আটকা পরে। অনেকদিন পরে মাছ পেয়ে বলাই হালদাররা সবাই তো মহা খুশি। পরে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মাছ বাজারের দুলাল মন্ডলের আড়তে তোলা হয়। সেখানে নিলামে ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা কিনেন।

দৌলতদিয়ার ৫নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন আরিফা-চাঁদনী মৎস্য আড়তের সত্বাধিকারী মোঃ চান্দু মোল্লা বলেন, মাছটি দুলাল মন্ডলের আড়ত ঘরে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কিনে নেই। এরমধ্যে বড় বোয়ালটি ১৭০০ টাকা কেজি দরে এবং বাকি দুই বোয়াল ১৫৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেই। মাছ তিনটি কেনার পর ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার আমার আড়ত ঘরে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা অনেকে ভিড় করেন। বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছের দাম কেজি প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ পেলেই বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।

গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ জানান, পদ্মা নদীর পানিতে থাকা বড় মাছ খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়। এই সময়ে খুব একটা দেখা না গেলেও মাঝে মধ্যে বড় মাছ দেখা যায়। সাধারণ মানুষ কিনতে না পারলেও টাকা ওয়ালারা খবর পেলেই কিনে নেন। বড় মাছে জেলে ও ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পেয়ে খুবই খুশি হন।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

পদ্মায় জেলের জালে ২২ কেজির ৩ বোয়াল, বিক্রি ৩৫ হাজার ৫ শ টাকা

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৪০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

ফিরোজ অঅহম্মেদ, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ২২ কেজি ওজনের ৩টি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। আজ সোমবার ভোরে পাবনার ঢালার চর এলাকার জেলে বলাই হালদারের জালে মাছ ৩টি ধরা পড়ে। ৩টি বোয়াল মাছের মধ্যে ১টির ওজন সাড়ে ৯ কেজি ও বাকি ২টির ওজন সাড়ে ১২ কেজি।

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা সাড়ে ৯ কেজির মাছটি ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং বাকি দুইটি ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৫ হাজার ৫২৫ টাকায় কিনে নেন। পরে মাছ তিনি বিক্রির জন্য তাঁর আড়ত ঘরে নিয়ে রাখেন।

ঘাট এলাকার মৎস্যজীবীরা জানান, বেশ কিছুদিন পদ্মা নদীর বড় কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। পাবনার আমিনপুর থানার ঢালার চর এলাকার জেলে বলাই হালদার গতকাল রোববার দিবাগত রাতে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে বের হন। রাতে তেমন একটা মাছ না পেয়ে তিনি এবং সঙ্গীরা অনেকটা হতাশ হন। আজ সোমবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদূরে জাল ফেলে টেনে নৌকায় তোলার সময় বোয়াল মাছ ৩টি আটকা পরে। অনেকদিন পরে মাছ পেয়ে বলাই হালদাররা সবাই তো মহা খুশি। পরে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার বাইপাস সড়ক সংলগ্ন মাছ বাজারের দুলাল মন্ডলের আড়তে তোলা হয়। সেখানে নিলামে ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা কিনেন।

দৌলতদিয়ার ৫নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন আরিফা-চাঁদনী মৎস্য আড়তের সত্বাধিকারী মোঃ চান্দু মোল্লা বলেন, মাছটি দুলাল মন্ডলের আড়ত ঘরে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কিনে নেই। এরমধ্যে বড় বোয়ালটি ১৭০০ টাকা কেজি দরে এবং বাকি দুই বোয়াল ১৫৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেই। মাছ তিনটি কেনার পর ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার আমার আড়ত ঘরে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা অনেকে ভিড় করেন। বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছের দাম কেজি প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ পেলেই বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।

গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ জানান, পদ্মা নদীর পানিতে থাকা বড় মাছ খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়। এই সময়ে খুব একটা দেখা না গেলেও মাঝে মধ্যে বড় মাছ দেখা যায়। সাধারণ মানুষ কিনতে না পারলেও টাকা ওয়ালারা খবর পেলেই কিনে নেন। বড় মাছে জেলে ও ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পেয়ে খুবই খুশি হন।