০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে কাঠের ঘানিতে শরিষার তেল উৎপাদন সচল রেখেছেন বাচ্চু বেপারী

ইমরান হোসেন, রাজবাড়ীঃ পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে ও খাটি শরিষার তেলের চাহিদা মেটাতে একমাত্র কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করতে দিন রাত কষ্ঠ করে যাচ্ছেন রাজবাড়ীর বাচ্চু বেপারী। তবে আর্থিক দৈন্যতার কারনে এর পরিধি বাড়াতে পারছেন না তিনি। ঘানির পরিসর বাড়াতে চান সরকারের চান সহযোগীতা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চন্দনী হাটের পাশে অবস্থিত বাচ্চু বেপারীর বাড়ি। সেখানেই তিনি গত ৫ বছর আগে গড়ে তুলেছেন কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে খাটি শরিষার তেলের উৎপাদন। ইউটিউব দেখে মাস্টার্সে পড়ুয়া বাচ্চু মিয়ার ছেলে সবুজ ও তার বাবা একটি কাঠের ঘানি ও একটি গরু দিয়ে প্রথমে শরিষার তেল উৎপাদন শুরু করেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরো একটি ঘানি ও গরু বাড়ানো হয়। প্রতিদিন এ দুটি ঘানি থেকে প্রতিদিন ২০ কেজি খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করতে পারছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বিক্রি হচ্ছে তার এ খাটি তেল। এর চেয়ে বেশি চাহিদা থাকলেও আর্থিক দৈন্যতার কারনে ঘানিটির পরিধি বাড়াতে পারছেন না বাচ্চু বেপারী। পরিসর বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সহযোগীতার অনুরোধ ঘানির মালিক ও এলাবাসির। বাচ্চু বেপারীর বেকার ছেলে সবুজ বেপারী অর্থ ও সময় নষ্ট করে চাকরী না হওয়ায় বর্তমানে তার সাথে সময় দিচ্ছেন। চাচ্ছেন ঘানির মাধ্যমে তার আগামী ভবিষ্যৎ গড়তে।

এলাকাবাসি বলেন, বাচ্চু বেপারী প্রতিদিন যে পরিমান খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করেন তার পুরোটাই বাড়ী থেকে বিক্রি হয়ে যায়। তার এ ঘানির তেলের চাহিদা থাকা সত্বেও তা পূরণ করতে পারছেন না তিনি। এলাকার মানুষদের কাজের পরিধি বাড়ানো ও খাটি তেল উৎপাদন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নজর দিতে অনুরোধ তাদের।

বাচ্চু বেপরী বলেন, খাটি শরিষার তেল উৎপাদন ধরে রাখতে ও তার পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে তিনি দেশীয় প্রযুক্তিতে কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে তার এ ঘানিটি সচল রেখেছেন। মাঝে মাঝে গরুর বদলে তারারও ঘানি ঠেলে তেল উৎপাদন করে থাকেন। চাহিদা মেটানো ও ঘানির পরিসর বাড়াতে তিনি আর্থিক সহযোগীতা চান সরকারের কাছে।

চন্দনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, বাচ্চু বেপারী তার পরিবাকে স্বচ্ছল রাখতে ও খাটি মানের শরিষার তেল উৎপাদন ধরে রাখতে রাত দিন কষ্ট করে যাচ্ছেন। পরিধি ছোট হওয়ায় সে চাহিদা অনুযায়ী তেল উৎপাদান করতে পারছেনা। তার এ ঘানিটির পরিসর বাড়াতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতার পাশাপাশি তিনিও সহযোগীতা করতে আগ্রহী বলে জানান।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মার্জিয়া সুলতানা-বলেন, খোঁজ পেয়ে বাচ্চু বেপারীর ঘানিটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। তবে তিনি উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে খাটি মানের শরিষার তেল উৎপাদন করতে তার কি ধরনের চাহিদা তার একটি কর্ম পরিকল্পনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাখিল করলে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকের দুই সমর্থকে হাতুড়ী পিটিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

রাজবাড়ীতে কাঠের ঘানিতে শরিষার তেল উৎপাদন সচল রেখেছেন বাচ্চু বেপারী

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

ইমরান হোসেন, রাজবাড়ীঃ পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে ও খাটি শরিষার তেলের চাহিদা মেটাতে একমাত্র কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করতে দিন রাত কষ্ঠ করে যাচ্ছেন রাজবাড়ীর বাচ্চু বেপারী। তবে আর্থিক দৈন্যতার কারনে এর পরিধি বাড়াতে পারছেন না তিনি। ঘানির পরিসর বাড়াতে চান সরকারের চান সহযোগীতা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চন্দনী হাটের পাশে অবস্থিত বাচ্চু বেপারীর বাড়ি। সেখানেই তিনি গত ৫ বছর আগে গড়ে তুলেছেন কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে খাটি শরিষার তেলের উৎপাদন। ইউটিউব দেখে মাস্টার্সে পড়ুয়া বাচ্চু মিয়ার ছেলে সবুজ ও তার বাবা একটি কাঠের ঘানি ও একটি গরু দিয়ে প্রথমে শরিষার তেল উৎপাদন শুরু করেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরো একটি ঘানি ও গরু বাড়ানো হয়। প্রতিদিন এ দুটি ঘানি থেকে প্রতিদিন ২০ কেজি খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করতে পারছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বিক্রি হচ্ছে তার এ খাটি তেল। এর চেয়ে বেশি চাহিদা থাকলেও আর্থিক দৈন্যতার কারনে ঘানিটির পরিধি বাড়াতে পারছেন না বাচ্চু বেপারী। পরিসর বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সহযোগীতার অনুরোধ ঘানির মালিক ও এলাবাসির। বাচ্চু বেপারীর বেকার ছেলে সবুজ বেপারী অর্থ ও সময় নষ্ট করে চাকরী না হওয়ায় বর্তমানে তার সাথে সময় দিচ্ছেন। চাচ্ছেন ঘানির মাধ্যমে তার আগামী ভবিষ্যৎ গড়তে।

এলাকাবাসি বলেন, বাচ্চু বেপারী প্রতিদিন যে পরিমান খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করেন তার পুরোটাই বাড়ী থেকে বিক্রি হয়ে যায়। তার এ ঘানির তেলের চাহিদা থাকা সত্বেও তা পূরণ করতে পারছেন না তিনি। এলাকার মানুষদের কাজের পরিধি বাড়ানো ও খাটি তেল উৎপাদন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নজর দিতে অনুরোধ তাদের।

বাচ্চু বেপরী বলেন, খাটি শরিষার তেল উৎপাদন ধরে রাখতে ও তার পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে তিনি দেশীয় প্রযুক্তিতে কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে তার এ ঘানিটি সচল রেখেছেন। মাঝে মাঝে গরুর বদলে তারারও ঘানি ঠেলে তেল উৎপাদন করে থাকেন। চাহিদা মেটানো ও ঘানির পরিসর বাড়াতে তিনি আর্থিক সহযোগীতা চান সরকারের কাছে।

চন্দনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, বাচ্চু বেপারী তার পরিবাকে স্বচ্ছল রাখতে ও খাটি মানের শরিষার তেল উৎপাদন ধরে রাখতে রাত দিন কষ্ট করে যাচ্ছেন। পরিধি ছোট হওয়ায় সে চাহিদা অনুযায়ী তেল উৎপাদান করতে পারছেনা। তার এ ঘানিটির পরিসর বাড়াতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতার পাশাপাশি তিনিও সহযোগীতা করতে আগ্রহী বলে জানান।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মার্জিয়া সুলতানা-বলেন, খোঁজ পেয়ে বাচ্চু বেপারীর ঘানিটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। তবে তিনি উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে খাটি মানের শরিষার তেল উৎপাদন করতে তার কি ধরনের চাহিদা তার একটি কর্ম পরিকল্পনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাখিল করলে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।