ঢাকা,
সোমবার , ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার পদ্মা তীর সংলগ্ন নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে রাস্তা ঘাট পানি তলিয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাবারের সংকটও। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল।
রোববার সরেজমিন দেখা যায়, জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর, কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়ীয়া, সদর উপজেলার খানগঞ্জ, মিজানপুর, বরাট, গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়ার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পদ্মার পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তা ঘাট পানি তলিয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। পানি ঢোকায় মারা যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত,সবজি ক্ষেতে।
সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কাচনন্দ এলাকার আলেয়া বেগম জানায়, গত এক সপ্তাহ বন্যার পানি বাড়ির চারপাশে । হাটা চলা করা খুবই কষ্টকর হয়েগেছে। সেই সাথে গরু-ছাগল নিয়ে আছি মহাবিপদে। চেয়ারম্যান -মেম্বর কেউ খবর নেয় নাই।
জাহানারা বেগম জানায়, বাড়িতে ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। খুবই ভয়লাগে চারদিকে পানি কখন যেন পানিতে চলে যায়। আরও ভয়ে থাকতে হয় চারপাশে পানি থাকায় সাপ পোকা ঘরের বিছানায় না উঠে পড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে এবং পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
জেলা ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরিফুল হক জানান, এখন পযর্ন্ত জেলায় কত মানুষ পানি বন্দি রয়েছে সেটার কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। পানিবন্দিদের তালিকা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রোকৌশলী আব্দুল হেকিম জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আগামী ২২ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে।
আরও বলেন, পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে থাকলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এবারও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বড় ধরনের বন্যা হবার শঙ্কা নেই।
