ঢাকা,
শনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজারে শুক্রবার এবার ২৭ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘাড় মাছ বিক্রি হয়েছে। মাছটি পদ্মা নদী থেকে পাবনার জেলেদের জালে ধরা পড়ে। ফেরি ঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ী ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩২ হাজার টাকায় কিনেন। কেজি প্রতি ৫০ টাকায় লাভে বিক্রি করবেন বলে তিনি ফেরির পন্টুনের সঙ্গে বেধে রেখেছেন।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর রাজবাড়ী সদর উপজেলার গুদারবাজার এলাকার পদ্মা নদীতে স্থানীয় বহরপুর এলাকার জেলে নুরাল বিশ্বাসের জালে ২৭ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘাড় মাছ ধরা পড়ে। মাছটি দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের কেছমত মোল্লার আড়তে বিক্রির জন্য নিলে প্রকাশ্য নিলামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ১ হাজার ৩০০ কেজি দরে মোট ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন।
বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর তফসিল (২) অনুযায়ী, বাঘাড় মাছ সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। বাঘাড় মাছ তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। আইন অনুযায়ী, এই মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকা অনুযায়ী, বাঘাড় মাছ মহাবিপন্ন প্রাণী।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পাবনার ঢালার চর এলাকার জেলেরা পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে নামেন। জাল ফেলে ভাসতে ভাসতে আসেন গোয়ালন্দের দেবগ্রাম অঞ্চলের পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায়। শুক্রবার ভোরে জেলেরা জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার পর দেখতে পান বড় এক বাঘাড়। মাছটি বিক্রির জন্য সকালে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের আব্দুল হালিমের আড়তে। এসময় নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরি ঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, সকালে বাঘাড় মাছ আব্দুল হালিমের আড়ত ঘরে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ২০০ কেজি দরে আমি কিনে নেই। এ সময় মাছটির ওজন দিয়ে দেখি প্রায় ২৭ কেজির মতো। পরে সাড়ে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে কিনে ফেরির পন্টুনের সঙ্গে বেধে রেখেছি।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান বলেন, ‘শুধু বাঘাড় মাছই না, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছোট যে কোন ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আছে। বড় বাঘাড় মাছ ধরা বা খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বারণ নেই। বাঘাড় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা বা খাওয়ার ক্ষেত্রে বারণ রয়েছে, এমন কোনো নির্দেশনাও আমাদের কাছে নেই। যে কারণে আমরা এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো অভিযানও চালায় না’।
