ঢাকা,
শনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মায় জেলের জালে ধরা পরেছে ১৫কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ। পরে মাছটি ২৪হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৬ টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদুরে পদ্মা নদী থেকে ঢালার জেলে কৃষ্ণ হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। জেলে কৃষ্ণ হালদার পাবনার ঢালার চর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় মৎস্যজীবিরা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে নদীতে মাছ শিকারে বের হন জেলে কৃষ্ণ হালদার। রাতে তেমন একটা মাছ না পাওয়ায় অনেকটা হতাশ জেলে কৃষ্ণ হালদার সহ তার সহকর্মীরা। রাত শেষে আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়ার ৭নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়ার পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেলেন তিনি। জাল নৌকায় তোলার সময় বড় একটি ঝাকি পেলে বুঝতে পারেন বড় কোন মাছ ধরা পড়েছে। পরে জাল তুলে নৌকায় উঠাতেই দেখেন একটি বড় কাতলা মাছ পেয়েছেন। পরে মাছটি বিক্রির জন্য সকালে নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট মাছ বাজারের আড়তদার সেকেন মোল্লা ওরফে সৈকে মোল্লার আড়তে। সেখান থেকে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কিনে নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।
দৌলতদিয়ার ৫নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার চাঁদনি-আরিফা মৎস্য আড়তের সত্ত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে তিনি দৌলতদিয়া বাজারে অবস্থিত সৈকে মোল্লার আড়তে আসেন। এসময় কাতলা মাছটি দেখতে পেয়ে ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ১৫ কেজি। পরে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার টাকা# কিনেন।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা আরো বলেন, কাতল মাছটি উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে আড়ত থেকে কিনেছি। পরবর্তীতে মোবাইলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাভ পেলেই বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।
জেলে কৃষ্ণ হালদার বলেন, আমরা সোমবার দিবাগত অনেক রাতে মাছ ধরতে নদীতে যাই। রাত শেষে ভোর ৭টার দিকে জাল তুলতেই দেখি বড় এই মাছটি আটকা পরেছে। অনেকদিন পর অনেক বড় একটি মাছ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। মাছটির ভালো দামও পেয়েছে বলে তিনি জানান।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, মিঠা পানির এমন সুস্বাদু এত বড় মাছ নদীতে এখন মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরো বেশি পাওয়া যেত।
