ঢাকা,
শনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
মইন মৃধা, গোয়ালন্দঃ ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্ভোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্ভোধন করেন।
প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সোমবার ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। গোয়ালন্দে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুর জব্বার, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমান, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, ইসলামী ফাউন্ডেশন রাজবাড়ীর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন মোল্লা, গোয়ালন্দ উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. লুৎফর রহমানসহ জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মুসুল্লিরা বলেন, উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ায় তারা গর্ববোধ করছেন। এতো সুন্দর মসজিদে বসে নামাজ আদায় করাটা অনেক আনন্দের মনে করছেন। নানামুখী ধর্মীয় শিক্ষা তারা এখান থেকে শিখতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যায়ে দুই বছর আগে তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ফরিদপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসসিএল এন্ড এমএম এইচ এন্টারপ্রাইজ। মসজিদের প্রায় ৯৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ ১০-১২ দিনের মধ্যে শেষ করে উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদে নারী ও পুরুষদের আলাদাভাবে নামাজ আদায় এবং আলাদা ওজুখানার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে হজ্ব প্রশিক্ষণ ও হজ্বযাত্রীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা। সেই সাথে রয়েছে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামী লাইব্রেরী ও অটিজম কর্নার। রয়েছে মৃতদেহ গোসল করানোর ও জানাযার ব্যবস্থা। ১৭০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১১০ ফুট প্রস্থ দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির নিচতলায় রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। রয়েছে হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, সহজ কোরআন শিক্ষা ও গণশিক্ষা কেন্দ্র। রয়েছে দ্বীনি এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সভা কক্ষ ও ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র। সাথে রয়েছে দেশী-বিদেশী মেহমানদের জন্য অতিথিশালা বা আবাসনের ব্যবস্থা।
