মইন মৃধা, গোয়ালন্দঃ রাত পোহালেই বিজয়ের রাঙা আভায় সাজবে বাংলাদেশ। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের ভবনগুলোতে শোভা পাচ্ছে রঙ্গিন আলোর ঝলকানি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এবার ৫০ তম বিজয় দিবস পূর্ণ হলো। আর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সাজতে শুরু করেছে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সরকারী অফিসসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা। ইতোমধ্যে সরকারী অফিস, বিভিন্ন সড়ক ও ভবনে শোভা পাচ্ছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে দেখা যায় মনমাতানো রং-বেরংয়ের আলোর খেলা। এমন চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় মুগ্ধ গোয়ালন্দ উপজেলাবাসী। সোমবার রাতে উপজেলা চত্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্মরণকালের সেরা আলোকসজ্জায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। যেন আলোয় আলোয় মেখে দিয়েছে সমস্ত কালো। উপজেলার সব সরকারী অফিস, স্থাপনাসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন আলোয় ঝলমলে। সর্বত্রই এ চাকচিক্য চোখে পরার মতো। সন্ধ্যার পর থেকেই এসব আলোর খেলা দেখতে ভীড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। এ বছর বিজয় দিবসের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
উপজেলা প্রশাসন গেট থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ ভবন, গোয়ালন্দ ঘাট থানা ভবন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়, এলজিইডি ভবন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ভবন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য ভবন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা ভবন, সমবায় ভবন, পরিসংখ্যান ভবন, যুব উন্নয়ন ভবন, মহিলা অধিদপ্তর ভবন, তথ্যসেবা কেন্দ্র, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, কৃষি অফিস ভবন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ভবন, আনসার ও ভিডিপি ভবন সহ সরকারী প্রায় সব অফিসগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
করোনা সংক্রমনের কারনে গত দুবছর সীমিত আকারে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন করা হলেও এবার করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল৷ তাপর বিজয়ের সূবর্নজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী৷ তাই এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্নাঢ্য আয়োজনে উদযাপন হচ্ছে বিজয় দিবস ৷
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কর্মসূচী ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্য উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা কোর্ট চত্বরে নির্মিত মুজিব স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে ৷
এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে ৷বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় দেশব্যাপী ‘বিজয়ের সূবর্নজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহন করতে অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিজুল হক খান৷
