০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ঘাট সকালে ফাঁকা, দুপুরে যাত্রীবাহি বাস ও পণ্যবাহি গাড়ির লাইন

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে খনন শেষে নাব্যতা সংকট অনেকটা দূর হয়ে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক হলেও যান্ত্রিক ক্রটিতে কয়েকটি ফেরি বিকল থাকায় যানবাহনের চাপ অব্যাহত থাকে। এরপর রাতের মধ্যে আটকে থাকা গাড়ি পারাপার শেষ করায় সকালে ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়।

সকালে ঘাট ফাঁকা থাকলেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে নাব্যতা সংকট ও ভাঙনে পুনরায় ফেরি বন্ধ হওয়ায় ওই রুটের অধিকাংশ ঢাকাগামী গাড়ি দৌলতদিয়ায় আসায় সোমবার দুপুরের পর থেকে পুনরায় গাড়ির চাপা বাড়তে থাকে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাস সহ পণ্যবাহি গাড়ির লাইন আরো লম্বা হতে থাকে।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেখা যায়, ফেরি ঘাট থেকে যাত্রীবাহি পরিবহন ও পন্যবাহি গাড়ির লাইন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে মহাসড়কের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে দাড়িয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে যানবাহনের লাইন আরো লম্বা হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুট থেকে আসা অনেক গাড়ি দুপুরের দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে এসে পৌছে। অনেক পণ্যবাহি গাড়ি রয়েছে যা আগেই এসেছিল।

খুলনা থেকে আসা মানিকগঞ্জগামী গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক চালক ফারুক হোসেন বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটের কাছে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তার আগে রোববার রাতে গোয়ালন্দ মোড় আসলে পুলিশ আটকে দেয়। রাত শেষে সকালে নদী পাড়ি দিতে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়। কয়েকশ গাড়ি গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় লাইন ধরে নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষা করছে। অথচ দুপুরের আগ পর্যন্ত দৌলতদিয়ায় তেমন গাড়ি ছিল না।

মাদারীপুর থেকে আসা আরেক পন্যবাহি কার্ভাডভ্যান চালক এরশাদুল ইসলাম বলেন, স্বল্প পরিসরে ফেরি চলার খবর পেয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুট দিয়ে নদী পাড়ি দিতে গত শনিবার রাতে ঘাটে যায়। সেখান একদিন থাকার পর রোববার থেকে ফেরিতে উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে দৌলতদিয়ায় আসি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলছে। নাব্যতা সংকট দূর হয়ে নৌ চ্যানেল এখন অনেক স্বাভাবিক হওয়ায় আগের থেকে সময় কম লাগছে। যে কারণে এই ফেরি দিয়েই যানবাহন পারাপার রাতের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত ঘাট ফাঁকা থাকায় দুই-তিনটি গাড়ি নিয়েই ফেরিগুলো ঘাট ছেড়ে যায়।

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে পুনরায় ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ওই রুটের অধিকাংশ ঢাকাগামী গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। আবার অনেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঘুরে ঢাকায় যাতায়াত করছে। এছাড়া সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গাড়ি সকালে ছেড়ে আসলে দুপুর নাগাদ দৌলতদিয়ায় এসে পৌছে। সেই সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটের গাড়ি দুপুরের পর থেকে এসে পৌছায় বাড়তি চাপ পড়ছে। এতে করে যাত্রীবাহি পরিবহনের পাশাপাশি পন্যবাহি গাড়ি রয়েছে।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

রাজবাড়ীতে শ্বাশুরীকে হত্যার দায়ে দুই জনের যাবোজ্জীবন একজন খালাস

দৌলতদিয়া ঘাট সকালে ফাঁকা, দুপুরে যাত্রীবাহি বাস ও পণ্যবাহি গাড়ির লাইন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে খনন শেষে নাব্যতা সংকট অনেকটা দূর হয়ে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক হলেও যান্ত্রিক ক্রটিতে কয়েকটি ফেরি বিকল থাকায় যানবাহনের চাপ অব্যাহত থাকে। এরপর রাতের মধ্যে আটকে থাকা গাড়ি পারাপার শেষ করায় সকালে ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়।

সকালে ঘাট ফাঁকা থাকলেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে নাব্যতা সংকট ও ভাঙনে পুনরায় ফেরি বন্ধ হওয়ায় ওই রুটের অধিকাংশ ঢাকাগামী গাড়ি দৌলতদিয়ায় আসায় সোমবার দুপুরের পর থেকে পুনরায় গাড়ির চাপা বাড়তে থাকে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাস সহ পণ্যবাহি গাড়ির লাইন আরো লম্বা হতে থাকে।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেখা যায়, ফেরি ঘাট থেকে যাত্রীবাহি পরিবহন ও পন্যবাহি গাড়ির লাইন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে মহাসড়কের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে দাড়িয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে যানবাহনের লাইন আরো লম্বা হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুট থেকে আসা অনেক গাড়ি দুপুরের দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে এসে পৌছে। অনেক পণ্যবাহি গাড়ি রয়েছে যা আগেই এসেছিল।

খুলনা থেকে আসা মানিকগঞ্জগামী গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক চালক ফারুক হোসেন বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটের কাছে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তার আগে রোববার রাতে গোয়ালন্দ মোড় আসলে পুলিশ আটকে দেয়। রাত শেষে সকালে নদী পাড়ি দিতে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়। কয়েকশ গাড়ি গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় লাইন ধরে নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষা করছে। অথচ দুপুরের আগ পর্যন্ত দৌলতদিয়ায় তেমন গাড়ি ছিল না।

মাদারীপুর থেকে আসা আরেক পন্যবাহি কার্ভাডভ্যান চালক এরশাদুল ইসলাম বলেন, স্বল্প পরিসরে ফেরি চলার খবর পেয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুট দিয়ে নদী পাড়ি দিতে গত শনিবার রাতে ঘাটে যায়। সেখান একদিন থাকার পর রোববার থেকে ফেরিতে উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে দৌলতদিয়ায় আসি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলছে। নাব্যতা সংকট দূর হয়ে নৌ চ্যানেল এখন অনেক স্বাভাবিক হওয়ায় আগের থেকে সময় কম লাগছে। যে কারণে এই ফেরি দিয়েই যানবাহন পারাপার রাতের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত ঘাট ফাঁকা থাকায় দুই-তিনটি গাড়ি নিয়েই ফেরিগুলো ঘাট ছেড়ে যায়।

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে পুনরায় ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ওই রুটের অধিকাংশ ঢাকাগামী গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। আবার অনেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঘুরে ঢাকায় যাতায়াত করছে। এছাড়া সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গাড়ি সকালে ছেড়ে আসলে দুপুর নাগাদ দৌলতদিয়ায় এসে পৌছে। সেই সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটের গাড়ি দুপুরের পর থেকে এসে পৌছায় বাড়তি চাপ পড়ছে। এতে করে যাত্রীবাহি পরিবহনের পাশাপাশি পন্যবাহি গাড়ি রয়েছে।