০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতার পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ, থানায় মামলা

হেলাল মাহমুদঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুটুক্তি করার প্রতিবাদের জেরে মামুনুর রশিদ নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রদল ও বিএনপি সমর্থিতরা। এ ঘটনায় রাজবাড়ী থানায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং মামলা করার কারণে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে আসামীরা।

আহত মামুনুর রশিদ লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ওলিউল্লাহ গাজীর ছেলে। সে বানীবহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ জানান, গত ১৭ মার্চ লক্ষীনারায়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দোকানে টিভিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান দেখার সময় একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাহ হোসেন (৩৫) বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা কুটুক্তি করে। এসময় তার (মামুনুর রশিদের) বড় ভাই মোস্তফা কামাল সেলিম প্রতিবাদ করলে বিল্লাল তাকে মারপিট করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সেলিমকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুটুক্তি করার জেরে মোস্তফা কামাল সেলিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলার কথা শুনে বিল্লাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নানাভাবে হুমকি প্রদান করে। এর জের ধরে গত ২২ এপ্রিল বিকেলে মামুনুর রশিদ ও তার ভাই মিরাজুর রহমান মোটর সাইকেলযোগে বাড়ী থেকে বানীবহ বাজারে যাওয়ার পথে বৃচাত্রা গ্রামস্থ শ্বশানের পাশে পৌছামাত্রই বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগিরা তাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা মামুনুর রশিদের ডান পা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলে।

এ ঘটনায় মামুনুর রশিদের বড় ভাই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে গত ৩ মে রাজবাড়ী সদর থানায় বিল্লাল হোসেনসহ ৭জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী মোস্তফা কামাল বলেন, থানায় মামলা করার পরও আসামীরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।

মামুনুর রশিদের পিতা ওলিউল্লাহ গাজী বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুটুক্তি করার জেরে আমার ছেলেরা প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ছেলে মামুনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পরও থানা কর্তৃপক্ষ আসামীদের গ্রেপ্তার করছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

ট্যাগঃ
রিপোর্টারের সম্পর্কে জানুন

Rajbari Mail

জনপ্রিয় পোস্ট

রাজবাড়ীতে শ্বাশুরীকে হত্যার দায়ে দুই জনের যাবোজ্জীবন একজন খালাস

রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতার পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ, থানায় মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০

হেলাল মাহমুদঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুটুক্তি করার প্রতিবাদের জেরে মামুনুর রশিদ নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রদল ও বিএনপি সমর্থিতরা। এ ঘটনায় রাজবাড়ী থানায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং মামলা করার কারণে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে আসামীরা।

আহত মামুনুর রশিদ লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ওলিউল্লাহ গাজীর ছেলে। সে বানীবহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ জানান, গত ১৭ মার্চ লক্ষীনারায়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দোকানে টিভিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান দেখার সময় একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাহ হোসেন (৩৫) বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা কুটুক্তি করে। এসময় তার (মামুনুর রশিদের) বড় ভাই মোস্তফা কামাল সেলিম প্রতিবাদ করলে বিল্লাল তাকে মারপিট করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সেলিমকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুটুক্তি করার জেরে মোস্তফা কামাল সেলিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলার কথা শুনে বিল্লাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নানাভাবে হুমকি প্রদান করে। এর জের ধরে গত ২২ এপ্রিল বিকেলে মামুনুর রশিদ ও তার ভাই মিরাজুর রহমান মোটর সাইকেলযোগে বাড়ী থেকে বানীবহ বাজারে যাওয়ার পথে বৃচাত্রা গ্রামস্থ শ্বশানের পাশে পৌছামাত্রই বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগিরা তাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা মামুনুর রশিদের ডান পা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলে।

এ ঘটনায় মামুনুর রশিদের বড় ভাই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে গত ৩ মে রাজবাড়ী সদর থানায় বিল্লাল হোসেনসহ ৭জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী মোস্তফা কামাল বলেন, থানায় মামলা করার পরও আসামীরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।

মামুনুর রশিদের পিতা ওলিউল্লাহ গাজী বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুটুক্তি করার জেরে আমার ছেলেরা প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ছেলে মামুনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পরও থানা কর্তৃপক্ষ আসামীদের গ্রেপ্তার করছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।