ষ্টাফ রিপোর্টার, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলেদের জালে বড় এক কাতল মাছ ধরা পড়েছে। কাতল মাছের ওজন ছিল প্রায় ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম। শনিবার সকালে মাছটি দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন মাছ বাজারে নিলামে বিক্রি হয়। ১৪০০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।

স্থানীয় মৎস্য জীবিরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে পাবনার কাজির হাটের জেলে গুরুদেব হালদার সহকর্মীদের সাথে করে নদীতে মাছ শিকারে নামেন। রাত শেষে তারা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের প্রায় তিন কিলোমিটার ভাটিতে চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন। শনিবার ভোর রাতে জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার সময় দেখতে পান বড় কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি নৌকায় তুলেই গুরুদেব হালদার নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন মাছ বাজারে। সেখানে বিক্রির জন্য স্থানীয় সয়কা মোল্লার আড়ত ঘরে নেন। এসময় দেখেন কাতল মাছটির ওজন হয়েছে ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম। পরে বিক্রির জন্য প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন চাঁদনি-আরিফা মৎস্য আড়তের সত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা কিনে নেন।

কাতলটির ক্রেতা মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে দৌলতদিয়া মাছ বাজারে গেলে সয়কা মোল্লার ঘরে বড় কাতল মাছটির প্রকাশ্য নিলামে তিনি অংশ নেন। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৪০০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার ৪০০ টাকায় কাতল মাছটি কিনে নেন তিনি। মাছটি বিক্রির জন্য ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানের পরিচিত জনদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি আশা করছি কাতলাটি ১৪৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন।

আলাপকালে চান্দু মোল্লা আরো বলেন, পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যে কারনে মাঝে মধ্যে কাতলা, রুই, বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাগার মাছ ধরা পড়ছে। কিছুদিন পর আরো ভালো এবং বড় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়বে বলে তিনি মনে করেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি সাধারণত মানিকগঞ্জ ও পাবনা অঞ্চলের জেলেরা পদ্মা ও যমুনা নদীতে নিয়মিত জাল ফেলে মাছ ধরে থাকে। আর পদ্মা নদীর মাছের চাহিতা সব সময় বেশি। যে কারনে সবার ঝোঁক থাকে পদ্মা নদীর বড় মাছের দিকে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এই অঞ্চলে ইলিশের দেখা তেমন একটা না মিললেও মাঝে মধ্যে বড় বড় কাতল, বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাগার মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আর্শিবাদ স্বরুপ এসেছে। পদ্মা নদীর পানি আরো কমলে আরো অনেক ভালো মাছ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।